০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ২০:৪১

পরীক্ষার হলে পছন্দের আসনে বসতে না দেওয়ায় শিক্ষিকাকে পাথর নিক্ষেপ

পরীক্ষার হলে পছন্দের আসনে বসতে না দেওয়ায় চট্টগ্রাম পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষিকাকে পাথর ছুড়ে মারার অভিযোগ পাওয়া গেছে এক ছাত্রের বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত শিক্ষার্থী মো. মারুফ হাসান ন্যাশনাল পলিটেকনিক কলেজ (এনপিসি) নামের একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের মেকানিক্যাল চতুর্থ পর্বের ছাত্র।

গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে নাসিরাবাদের ক্যাম্পাসে ঘটনাটি ঘটেছে বলা হলেও বিষয়টিজানাজানি হয় বুধবার। 

এই ঘটনায় মারুফকে কলেজ থেকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন কলেজ অধ্যক্ষ এ বি এম আবদুল ওয়াহেদ। তিনি বলেন, ‘পরীক্ষা চলাকালে এক শিক্ষিকার সঙ্গে ছেলেটি বেয়াদবি করে। পরীক্ষা শেষে বের হওয়ার পর ম্যাডামকে লক্ষ্য করে পাথর ছুড়েছে বলে শুনেছি। আমরা তাঁকে বের করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’

জানা যায়, এনপিসিসহ বিভিন্ন কলেজের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয় পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে। গতকাল সকাল ১০টা থেকে চতুর্থ পর্বের এনভায়রনমেন্ট বিষয়ের পরীক্ষা ছিল। ৩০১ নম্বর কক্ষে এনপিসির ৩১ শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিতে যান। এ সময় তাঁরা নিজেদের পছন্দের আসনে বসে পড়েন। পরে শিক্ষিকা সুপ্তিকনা দেবী তাঁদের আসন পরিকল্পনা অনুযায়ী বসার নির্দেশ দেন। সবাই নিজ নিজ আসনে বসলেও মারুফ কথা শুনছিলেন না। এ সময় তিনি প্রবেশপত্র দেখাতেও গড়িমসি করেন। এতে শিক্ষিকা তাঁকে বকাঝকা করেন।

এ বিষয়ে শিক্ষিকা সুপ্তিকনা বলেন, ‘ওই ছেলেটি কোনোভাবে কথা শুনছিল না। পরে নিজের আসনে বসলেও বেয়াদবি করছিলেন। পরীক্ষা শেষে বাসায় যাওয়ার জন্য বের হলে বেলা দুইটার দিকে ক্যাম্পাসেই আমাকে একটি পাথর নিক্ষেপ করা হয়। পাথরটি আমার গলার নিচে কলার বোনের পাশে লাগে। প্রচণ্ড ব্যথায় আমার মাথা ঘুরে ওঠে। পরে অন্য ছেলেরা জানায়, মারুফ এটা করেছে। তাদের চাপে সে আমাকে দুঃখিত বলে চলে যায়। আমি বিষয়টি কর্তৃপক্ষকে জানাই।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষ মোহাম্মদ লুৎফর রহমান বলেন, বিষয়টি তিনি শুনেছেন। এ বিষয়ে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের তিনি নির্দেশ দিয়েছেন।