কিশোরীর শ্লীলতাহানি করে উল্টো মামলা, ভুক্তভোগীর পিতাসহ গ্রেপ্তার-৩
পটুয়াখালীর দুমকিতে ষষ্ঠ শ্রেণীর এক ছাত্রীকে শ্লীলতাহানির অভিযোগে মোঃ আবু ইউসুফ (৪২) নামের এক ধর্মীয় শিক্ষককে ( স্থানীয় মক্তবের ইমাম) মারধর করেছে অভিভাবকরা। পরে আহত অবস্থায় ওই শিক্ষককে জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন স্থানীয়রা।
সোমবার(০৯ জানুয়ারি) সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টার দিকে উপজেলার উত্তর মুরাদিয়া গ্রামের কদমতলা খেয়াঘাট এলাকার মৃধা বাড়ি জামে মসজিদের সামনে এ হামলার ঘটনা ঘটে।
এঘটনায় থানায় মামলা করেছেন শ্লীলতাহানিতে অভিযুক্ত ওই ধর্মীয় শিক্ষক। তার মামলার পরিপ্রেক্ষিতে শ্লীলতাহানির শিকার কিশোরির পিতা সহ ৩ স্বজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- ওই এলাকার হেলাল হাওলাদারের ছেলে ফিরোজ হাওলাদার (২৩), হাবিবুর রহমান হাওলাদারের ছেলে নুর আলম (২৬) ও মনির মৃধার ছেলে রনি (২৪)।
স্থানীয়রা জানান, শ্লীলতাহানির ঘটনায় অভিযুক্ত মোঃ আবু ইউসুফ তার ছোট ছেলেকে সাথে নিয়ে ওই গ্রামের একটি মসজিদের কক্ষে থাকতেন। তিনি সেখানে বাচ্চাদের ধর্ম শিক্ষা দিতেন।
ঘটনার দিন সকালে তিনি ছাত্রছাত্রীদের পৃথকভাবে ডেকে ছবক আদায় করেন। ধারাবাহিকভাবে তিনি এক কিশোরিকে আলাদাভাবে রুমে ডেকে পরীক্ষা নেয়ার কথা বলে শ্লীলতাহানি করেন। পরে ওই কিশোরি বাড়িতে এসে পরিবারকে সবকিছু বলে দেয়।
পরে ভুক্তভুগী কিশোরির পরিবার মসজিদ কমিটিকে বিষয়টি অবগত করে। ওই মুহুর্তে বিচারের কোনো আশ্বাস না পেয়ে অভিযুক্ত মোঃ আবু ইউসুফকে এলোপাতাড়ি কিল-ঘুষি ও জুতা পেটা করেন কয়েকজন অভিভাবক।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মোঃ আবু ইউসুফ বলেন, পরীক্ষা নেওয়ার সময় দরজা খোলা ছিল। ভিতরে আমার ছেলে পড়ছিল। আমি কোনো খারাপ কাজ করিনি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে দুমকি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ আবদুস সালাম বলেন, ওই ঘটনায় একটি মামলা হয়েছে। মামলা নং-০৩। আসামিদের গ্রেপ্তার করে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।