ফারদিনের মৃত্যু নিয়ে ৫ প্রশ্নের উত্তর জানতে চান বুয়েট শিক্ষার্থীরা
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) শিক্ষার্থী ফারদিন নূর পরশের মৃত্যু নিয়ে ডিবি ও র্যাব কর্মকর্তাদের কাছে পাঁচটি প্রশ্নের উত্তর জানতে চেয়েছিলেন বুয়েটের সাধারণ শিক্ষার্থীরা। এই প্রশ্নগুলোর উত্তর সন্তোষজনক মনে হওয়ায় তারা আপাতত আর কোনো কর্মসূচি দিচ্ছেন না।
শনিবার (১৭ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় বুয়েট ক্যাম্পাসের শহীদ মিনারে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষার্থীরা বলেন, আমাদের সহপাঠী ফারদিনের মৃত্যু নিয়ে আমাদের সাধারণ শিক্ষার্থীসহ শুরু করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ সবাই ধারণা করেছিল ফারদিনকে হত্যা করা হয়েছে। গত এক মাস ধরে যেসব তথ্য প্রমাণ পাওয়া গিয়েছিল তার ভিত্তিতে এ ধারণা আরও বেগবান হয়। পরে বুধবার (১৩ ডিসেম্বর) ডিবির পক্ষ থেকে দাবি করা হয় ফারদিন আত্মহত্যা করে থাকতে পারেন। এটা মেনে না নিয়ে আমরা এর পরের দিনই প্রতিবাদ সভা করার ঘোষণা দিয়েছিলাম। পরে ডিবি কার্যালয় যাওয়ার জন্য আমরা সে প্রতিবাদ সভা স্থগিত করেছিলাম। পরে আমরা ডিবি এবং র্যাবের কার্যালয়ে গিয়ে মোটামুটি ৫টি প্রধান প্রশ্নের উত্তর জানতে চাই। প্রশ্নগুলো হলো-
১) পোস্টমর্টেমের পর ডাক্তার বলেছিলেন ফারদিনের বুকে এবং মাথায় আঘাতের চিহ্ন ছিল, তাহলে এ মুহূর্তে এসে কিভাবে আত্মহত্যার আলাপ আসে?
২) সিসিটিভি ফুটেজে যে ব্যক্তিকে দেখা যাচ্ছে সে ব্যক্তি যে ফারদিন তার গ্যারান্টি কি?
৩) ফারদিন যে ঐদিন রাতে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে বেড়িয়েছিল তার কোনো সলিড প্রমাণ আছে কিনা?
৪) যে লেগুনার ড্রাইভার অনেকদিন আগে ফারদিনকে রাস্তায় নামিয়ে দিয়েছিল সে কিভাবে এটা মনে রেখেছে?
৫)মাদক, ছনপাড়া বস্তি ও নারায়ণগঞ্জের ব্যাপার আসলো এসব কাহিনির ভিত্তি কি?
তারা আরও জানান, আপাতত ফারদিনের মৃত্যুর বিষয়ে আমাদের আর কোনো কর্মসূচি নেই। তবে ফারদিনের পরিবার যদি যৌক্তিক কোনো কিছু দাবি করেন আমরা তাদের পাশে দাঁড়াবো। তবে আমাদের কাছে এই বিষয়ে আর কোনো সন্দেহ বা প্রশ্ন করার মতো কোনো এলিমেন্ট নেই। ভবিষ্যতে যদি নতুন করে কোনো তথ্য আসে তখন বিষয়টা নিয়ে আবার কথা বলব।