১৪ ডিসেম্বর ২০২২, ১০:১৮

বিদ্যালয়ের টাকা আত্মসাৎ করে বহিষ্কার, পরে গ্রেপ্তার প্রধান শিক্ষক

টাকা আত্মসাতের অভিযোগে প্রধান শিক্ষক গ্রেপ্তার  © প্রতীকী ছবি

স্কুলের ছয় লাখ ৮৪ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগে বরখাস্ত হয়েছিলেন প্রধান শিক্ষক। এবার তাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (১৩ ডিসেম্বর) ধামরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয় তাকে। মঙ্গলবার সকালে যাদবপুর বিএম স্কুল ও কলেজের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আকলিমা আক্তার মামলা করার পর সাবেক প্রধান শিক্ষক আলী হায়দার গ্রেপ্তার হন।

এর আগে সোমবার সন্ধ্যায় ধানতারা বাজারে এলাকাবাসী নিয়োগের নামে টাকা নিয়ে প্রতারণা ও স্কুল-কলেজের টাকা আত্মসাতের ঘটনায় হায়দারকে পিটুনি দিয়ে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠান। হায়দার ভোলার ভিদুরিয়া গ্রামের সোলাইমানের ছেলে। মামলার অপর আসামি যাদবপুর ইউনিয়নের ধানতারা গ্রামের লিটন মিয়া।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, স্থানীয় লিটনের সহায়তায় হায়দার চলতি বছরের এসএসসি পরীক্ষার ফরম পূরণের নামে পাঁচটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে ৮ লাখ ৮৪ হাজার ৮৬০ টাকা নেন। তবে ৫ লাখ ৭২ হাজার টাকা রিসিভ দেখান। ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আকলিমা শিক্ষকদের সঙ্গে নিয়ে ব্যাংকে গিয়ে জানতে পারেন ২ লাখ টাকা জমা করেছেন। বাকি ৬ লাখ ৮৪ হাজার ৮৬০ টাকা আত্মসাৎ করেছেন।

আরো পড়ুন: বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির টাকা না পেয়ে বড় ভাইকে হত্যা

স্কুল থেকে টাকা ব্যাংকে জমা দেওয়ার জন্য বললে তিনি কালক্ষেপণ করেন। এরপরই নানা অপকর্ম ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে হায়দারকে প্রথমে সাময়িক ও পরে চূড়ান্তভাবে বরখাস্ত করা হয়।

ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আকলিমা আক্তার বলেন, ২০১৭ সাল থেকে হায়দার অনিয়ম-দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত। নানা অভিযোগে প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষকের পদ থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে তাকে। এরপরও পিয়ন নিয়োগের কথা বলে ৮ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন।

ধামরাই থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মফিজুর রহমান মল্লিক বলেন, আলী হায়দারসহ দু'জনের বিরুদ্ধে টাকা আত্মসাতের অভিযোগে মামলা হয়েছে। তাকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। অপর আসামিকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।