ধর্ষণে অভিযুক্ত ছাত্রলীগ কর্মীকে ছিনিয়ে নিতে গিয়ে গ্রেপ্তার বাবা-মা
গাজীপুরের টঙ্গীতে ধর্ষণে অভিযুক্ত ছাত্রলীগকর্মীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। খবর পেয়ে দলবল নিয়ে হামলা করেন তরুণের বাবা স্থানীয় কৃষক লীগ নেতা। পরে ওই নেতা ও তাঁর দুই স্ত্রীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বুধবার এ ঘটনায় গ্রেপ্তারকৃত পাঁচজনকে কারাগারে পাঠনো হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার রাতে ভুক্তভোগী তরুণী রাতে ডিউটি শেষে কারখানা থেকে ফিরছিলেন। টঙ্গীর মরকুন কবরস্থানের কাছাকাছি গেলে স্থানীয় বাবুল হোসেন বাবু (২৭) মুখে গামছা চেপে ধরে কবরস্থানে নিয়ে যান। সেখানে অবস্থান করা রিপন মিয়া (৪০) ও ছাত্রলীগকর্মী আসাদুজ্জামান শাওন (২৮) তাঁকে ধর্ষণ করেন। পরে তরুণীর চিৎকারে লোকজন এসে বাবুকে আটক করে ৯৯৯ নম্বরে কল দেন।
আরো পড়ুন: এসএসসি ফেল করা শিক্ষার্থীদের আত্মহত্যার পরামর্শ দিয়ে পোস্ট প্রধান শিক্ষকের
পরে পুলিশ গিয়ে বাবুকে আটক করে। জিজ্ঞাসাবাদে রিপন ও শাওনের নাম বলেন তিনি। রাতেই পুলিশ অভিযান চালিয়ে শাওনকে আটক করে। তাদের থানায় আনার সময় শাওনের বাবা কৃষক লীগ নেতা লুৎফর রহমান কালুর (৬০) নেতৃত্বে পুলিশের ওপর হামলা চালালে কনস্টেবল আমজাদ শরীফের মাথা ফেটে যায়। পরে পুলিশ কালু ও তাঁর দুই স্ত্রীকে আটক করে।
টঙ্গী পূর্ব থানার ওসি আশরাফুল ইসলাম জানান, ভুক্তভোগী তরুণী তিনজনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেছেন। পুলিশের ওপর হামলা, আসামি ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টার অভিযোগে লুৎফর রহমান কালু, মা সনি আক্তার (৪০) ও সৎমা ফাতেমা বেগম (৩৫) এবং ভাইসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।