রাত আড়াইটায় চনপাড়াতে খুন হন ফারদিন, বান্ধবী বুশরার সম্পৃক্ততা মেলেনি
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় বুয়েটের ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের তৃতীয়বর্ষের শিক্ষার্থী ফারদিন নুর পরশ চনপাড়ায় রাত আড়াইটায় খুন হন। তবে হত্যায় বান্ধবী বুশরার সম্পৃক্ততা পায়নি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। বর্তমানে কারাগারে আছেন তিনি।
বুধবার (১৬ নভেম্বর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. আতাউল্লাহ তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
গোয়েন্দা তথ্যের সূত্র ধরে র্যাব জানায়, রাত আনুমানিক আড়াইটার দিকে চনপাড়াতেই খুন হয়েছে ফারদিন। ডিজিটাল-অ্যানালগ তথ্যের ভিত্তিতে ফারদিনের অবস্থান সম্পর্কে ধারণা নেয়া হয়। খোঁজ মেলে ধানমন্ডি, বনশ্রী, যাত্রাবাড়ি হয়ে সর্বশেষ অবস্থান নারায়ণগঞ্জের চনপাড়ায়।
এর আগে ফারদিনের বাবার মামলায় আসামি বান্ধবী বুশরাকে গ্রেপ্তারের পর রিমান্ডে নেয় পুলিশ। র্যাব-পুলিশ বলছে, এই মামলায় কোথাও বুশরার সম্পৃক্ততা পাওয়া যায়নি।
গত ১০ নভেম্বর সকালে রাজধানীর রামপুরার নিজ বাসা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ওইদিন দুপুরে তার ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন অপর একটি আদালত।
এদিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের এক মানববন্ধনে ফারদিনের বাবা কাজী নুরউদ্দিন রানা বলেন, ফারদিনের মিসিং পয়েন্ট ছিল রামপুরা। তাকে সর্বশেষ সেখানে পাওয়া যায়। সেখান থেকে বুয়েট ক্যাম্পাস লাইনে তাকে খোঁজার কথা। সেই মিসিং পয়েন্ট থেকে তাকে খোঁজা হয়নি। কীভাবে সেখান থেকে সে চনপাড়া গেল, সে নিজে গিয়েছে নাকি অন্য কেউ নিয়েছে তা দেখতে হবে। আমার মনে হয় কোথাও একটি ফাঁকি হয়েছে।
আরও পড়ুন: জামিন নামঞ্জুর, রিমান্ড শেষে কারাগারে ফারদিনের বান্ধবী বুশরা
ফারদিনের ছবি দেখিয়ে তিনি বলেন, এরকম অপ্রত্যাশিত মৃত্যু কখনও কাম্য নয়। এই দেশে মেধাবী নিধন শুরু হয়েছে। বুয়েট কিলিং মিশন শুরু হয়েছে। আমার সন্তান ধূমপানও করে না। ঘটনাকে ভিন্ন খাতে নিয়ে বিচারকে বিলম্বিত করার জন্য তাকে মাদকে সম্পৃক্ত করা হচ্ছে। আমার সন্তান কখনও ফিরে আসবে না। মৃত ব্যক্তির প্রতি অন্যায় করা হয়েছে, ফারদিনের কাছে ক্ষমা পাওয়ার সুযোগ নেই। আর যেন কাউকে এমনভাবে তুলে না ধরে।