ইমো হ্যাক করে টাকা দাবি, রাবির ২ শিক্ষার্থী রিমান্ড শেষে কারাগারে
একদিনের রিমান্ড শেষে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) চারুকলা অনুষদের দুই শিক্ষার্থীসগ ৩ জনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। আজ মঙ্গলবার (১৫ নভেম্বর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট দেবদাস চন্দ্র অধিকারী তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
কারাগারে যাওয়া ওই তিনজন হলেন- রাবির চিত্রকলা, প্রাচ্যকলা ও ছাপচিত্র বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের মো. রেজোয়ান ইসলাম ও সাকিব খান এবং অপরজনের নাম রবিন আলী।
১২ নভেম্বর রাজশাহী থেকে তিনজনকে গ্রেফতার করে ডিএমপির কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিটের সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন বিভাগ। পরদিন তাদের একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
সেই রিমান্ড শেষে মঙ্গলবার তিন আসামিকে আদালতে হাজির করে মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিটিটিসির পুলিশ উপপরিদর্শক মো. হোসেন পাটোয়ারী। সেই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারক তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
ইমো হ্যাকিংয়ের মাধ্যমে অর্থ আত্মসাতের মামলায় লাইলি বেগম নামে এক নারী গত জানুয়ারিতে খিলগাঁও থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে একটি মামলা করেন।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, লাইলি বেগমের স্বামী ওমান প্রবাসী রুহুল আমিন। তার ওমানে পুলিশের হাতে আটক হয়েছে, এমন দাবি করে প্রতারক চক্র লাইলি বেগমকে ফোন দেয়। তাদের কথামতো স্বামীকে ছাড়াতে ৫১ হাজার টাকা বিকাশের মাধ্যমে পাঠান তিনি।
পরে লাইলি বেগম বুঝতে পারেন প্রতারক চক্রের মাধ্যমে তিনি প্রতারণার শিকার হয়েছেন। তাই অনলাইনে প্রতারণার মাধ্যমে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে তিনি মামলা দায়ের করেন।
এ ঘটনায় সম্পৃক্ততার অভিযোগে রবিন আলীকে প্রথমে গ্রেফতার করা হয়। এরপর ১৩ নভেম্বর দুপুরে রাজশাহীর চন্দ্রিমা থানার চকপাড়া এলাকার একটি মেস থেকে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা রেজোয়ান ও সাকিবকে তুলে নিয়ে যায়। এরপর তাদের এ মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে রিমান্ডে নেয় সিটিটিসি।