ফারদিন হত্যায় নতুন মোড়, তিন কারণ সামনে রেখে চলছে তদন্ত
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী ফারদিন নুর পরশ হত্যাকান্ড নতুন মোড় নিয়েছে। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা তিনটি কারণ সামনে রেখে তদন্ত করছেন বলে জানা গেছে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ফারদিন হত্যাকাণ্ডের রহস্য উন্মোচনে বর্তমানে শত্রুতাবশত, ডিবেটিং চ্যাম্পিয়নশিপে স্পেনে যাওয়াকে কেন্দ্র করে হত্যা, রাজনৈতিক বিদ্বেষ ও প্রেমঘটিত কারণসহ আরও কিছু বিষয় সামনে এনে তদন্ত চলছে। এছাড়া পেশাদার মাদক কারবারিদের হাতে ফারদিন খুন হতে পারেন এমন সন্দেহও উড়িয়ে দিচ্ছেন না তদন্ত সংশ্লিষ্টরা।
তবে মাদকের সাথে ফারদিনের জড়িত থাকার বিষয়টি কোনো ভাবেই মানতে পারছে না ফারদিনের পরিবার। তারা বলছেন, ছোটবেলা থেকে ফারদিন কষ্ট করে বড় হয়েছে। সে ধনীর দুলাল না। তাছাড়া যদি মাদকই কিনতে হয় তাহলে সে এতদুর যাবে কেন? শাহবাগে কি মাদক পাওয়া যায় না?
ফারদিনের চাচা আবু ইউসুফ বলেন, আমার ভাতিজা কোনো ভাবেই মাদকের সাথে জড়িত হতে পারে না। নিজের এবং পরিবারের খরচ চালানোর জন্য সে কোচিং করাত, প্রাইভেট পড়াত। এছাড়া ফারদিন প্রচুর বই পড়ত। মাদকের সাথে জড়িতরা এসব করতে পারে না।
ফারদিনের বাবা নূর উদ্দিন বলেন, আমি ফারদিনকে কখনো সিগারেট খেতে দেখিনি। সে যদি মাদকসেবী হত তাহলে কোনো না কোনো ভাবে আমি বিষয়টি ধরতে পারতাম। আমি একজন সাংবাদিক। অনেক রকম মানুষের সাথে মিশি। আমার ছেলে বাসায় থেকে পড়ালেখা করেছে। ওর মা ওর মুখ থেকে কখনো সিগারেটের গন্ধ পায়নি।
তিনি আরও বলেন, বুয়েটের শিক্ষার্থীকে মাদক সংগ্রহ করতে অতদূর যেতে হয়? ঢাকা মেডিকেল এলাকায় কোন জিনিসটা পাওয়া যায় না? পরদিন যে ছেলেটার পরীক্ষা সে কীভাবে মাদক আনতে এতদূর যাবে?
ফারদিন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) পুরকৌশল বিভাগের ৩য় বর্ষের ছাত্র এবং নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা উপজেলার কুতুবপুর এলাকার বাসিন্দা। ফারদিন নিখোঁজ হওয়ার তিন দিন পর গত ৭ নভেম্বর তার মরদেহ সিদ্ধিরগঞ্জে একটি কটন মিলের পেছনে শীতলক্ষ্যা নদী থেকে উদ্ধার করে পুলিশ। ময়নাতদন্ত দলের সদস্য ও নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসক শেখ ফরহাদ ৮ নভেম্বর জানান, ফারদিনের মাথায় ও শরীরে একাধিক আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।