প্রশ্নফাঁসে জড়িত থাকায় পটুয়াখালীতে শিক্ষককে শোকজ
প্রশ্নফাঁসে জড়িত থাকার অভিযোগে পটুয়াখালীর দুমকি উপজেলার মুরাদিয়া জয়গুননেছা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক মো: হাবিবুর রহমানকে শোকজ করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ তিনি এসএসসি পরীক্ষার্থীদের টেস্ট পরীক্ষার প্রশ্নফাঁসের সাথে জড়িত রয়েছেন। তিনি একই বিদ্যালয়ের ইংরেজির শিক্ষক।
মঙ্গলবার(৮ নভেম্বর) বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আল ইমরান স্বাক্ষরিত কারণ দর্শানো পত্রে আগামী ৭ কার্যদিবসের মধ্যে কেন তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবেনা তার জবাব দিতে বলা হয়েছে।
তাতে বলা হয়, ঘূর্নিঝড় সিত্রাং’র কারণে গত ২৫ অক্টোবরের নির্ধারিত পরীক্ষা (ইংরেজী ২য়পত্র) স্থগিত ছিল। স্থগিত থাকা ইংরেজী ২য় পত্রের প্রশ্নে ২৭ অক্টোবর রাতে বিশেষ সুবিধাপ্রাপ্তির পর নিজস্ব কোচিং শিক্ষার্থীদের প্রশ্ন দিয়ে দেন। যা পরের দিন ফাঁস হয়ে যায়। পাবলিক পরীক্ষা (অপরাধ) আইন, ১৯৮০ এবং সংশোধনী ১৯৯২ এর ৪ নম্বর ধারায় প্রশ্নপত্র ফাঁসে জড়িত থাকার অপরাধে ন্যূনতম ৩ বছর থেকে সর্বোচ্চ ১০ বছরের কারাদণ্ডসহ অর্থদণ্ডের বিধান রয়েছে।
এমতাবস্থায় প্রশ্ন ফাঁসের অপরাধে কেন আপনার বিরুদ্ধে উল্লেখিত শাস্তিসহ বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না আগামী ৭(সাত) কার্যদিবসের মধ্যে তার কারণ দর্শানোর নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে বলে জানানো হয়েছে ওই চিঠিতে।
আরও পড়ুন: শিক্ষাব্যবস্থায় দুর্নীতির তালিকার শীর্ষে প্রশ্ন ফাঁস
এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আল ইমরান শোকজের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ৭ কর্মদিবস অতিক্রান্ত হলেও তিনি শোকজ'র কোন জবাব দেননি। ইতোমধ্যে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বরিশাল শিক্ষা বোর্ডে চিঠি পাঠানো হয়েছে।
অভিযুক্ত শিক্ষক মো: হাবিবুর রহমান মোবাইল ফোনে শোকজের চিঠি প্রাপ্তির বিষয়টি অস্বীকার করেন। এ বিষয়ে কথা এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টায় একপর্যায়ে ফোন কেটে দেন। ফের কল করলে তিনি আর ফোন রিসিভ করেননি।
উল্লেখ্য, উপজেলার মুরাদিয়া জয়গুননেছা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে এসএসসি’র টেস্ট (নির্বাচনিক) পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনা ঘটে। ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং'র কারণে ২৫ অক্টোবরের স্থগিত থাকা ইংরেজি বিষয়ের পরীক্ষা শুক্রবার (২৮ অক্টোবর) নেয়া হয়। ওই বিদ্যালয়ের ইংরেজির শিক্ষক মোঃ হাবিবুর রহমান তার কাছে প্রাইভেট পড়া শিক্ষার্থীদের পরীক্ষার আগের দিনই প্রশ্নপত্র দিয়ে দেন। বিষয়টি জানাজানি হলে অন্যান্য শিক্ষার্থীদের মধ্যে ক্ষোভ ও অসন্তোষ দেখা দেয়।