টাকার জন্য ভাতিজার হাতে খুন হন কুষ্টিয়ায় স্কুলশিক্ষিকা
মাদক ও জুয়ার টাকার জন্য ভাতিজা নওরোজ কবির ওরফে নিশাতের (১৯) হতে কুষ্টিয়া জিলা স্কুলের জ্যেষ্ঠ শিক্ষক রোকসানা খানম (৫২) খুন হন বলে দাবি করছেন জেলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)।
সোমবার (৭ নভেম্বর) রাতে পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে নওরোজ হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন বলে জানিয়েছেন ডিবির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাসির উদ্দীন।
নাসির উদ্দীন বলেন, পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের সময় নওরোজ হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন।নওরোজের বাবা মারা যাওয়ার পর থেকে রোকসানা নওরোজের দেখভাল করতেন। নওরোজ মাদকে আসক্ত হওয়ার পাশাপাশি তিনি অনলাইন জুয়ার সঙ্গেও জড়িত। এ জন্য তিনি প্রায়ই রোকসানার কাছ থেকে টাকা নিতেন। মাদক ও জুয়া খেলার টাকা জোগান দিতে সম্প্রতি নওরোজ তার ফুফুর কিনে দেওয়া মোটরসাইকেলও বিক্রি করে দেন।
আরও পড়ুন: শিক্ষার্থীরা যেন শুধু পাঠ্যপুস্তকের মধ্যে সীমাবদ্ধ না থাকে: ঢাবি ভিসি।
নাসির উদ্দীন আরও জানান, সম্প্রতি রোকসানা নওরোজকে টাকা দেওয়া বন্ধ করে দেন এবং বকাঝকা করেন। এতে নওরোজ ক্ষিপ্ত হয়ে রোকসানাকে মারার পরিকল্পনা করেন। শনিবার রাতে রোকসানার ফ্ল্যাটের একটি কক্ষে কৌশলে প্রবেশ করে লুকিয়ে থাকেন নওরোজ। রোকসানা ঘরে ফিরে ঘুমিয়ে গেলে রাত দেড়টার দিকে রান্নাঘর থেকে শিল–পাটার শিল নিয়ে ঘুমন্ত রোকসানাকে মাথায় আঘাত করেন। এতে ঘটনাস্থলে রোকসানার মৃত্যু হয়।
সোমবার রাত ১২টার দিকে শহরের হাউজিং এলাকা থেকে নওরোজকে গ্রেপ্তার করে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ। এ ঘটনায় নওরোজের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা আরও দুই থেকে তিনজনকে আসামি করে থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেছেন নিহত রোকসানার স্বামী মোস্তাফিজুর রহমান।
কুষ্টিয়া মডেল থানার ওসি দেলোয়ার হোসেন খান জানান, ময়নাতদন্ত শেষে রোকসানার লাশ দাফন করা হয়েছে। নিহত ব্যক্তির স্বামী মোস্তাফিজুর রহমান বাদী হয়ে থানায় হত্যা মামলা করেন। আজ মঙ্গলবার বিকেলে নওরোজকে আদালতে নেওয়া হবে।