০৭ নভেম্বর ২০২২, ১৬:০২

ইমো হ্যাকিং চক্রের ৬ সদস্য গ্রেফতার, টার্গেট ছিল মধ্যপ্রাচ্যের প্রবাসীরা

  © সংগৃহীত

ভিডিও কল এবং চ্যাট অ্যাপ ‘ইমো (Imo)’ অ্যাকাউন্ট হ্যাক করে বিপুল পরিমাণ অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে ৬ জনকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) এর গোয়েন্দা-ওয়ারী বিভাগ। গ্রেফতারকৃত ব্যক্তিরা হলো- মোঃ আব্দুল মমিন, মোঃ রবিউল ইসলাম ওরফে রবি, মোঃ শহিদুল ইসলাম ওরফে শহিদ, মোঃ সাব্বির, মোঃ চাঁন মোল্লা এবং আরিফুল ইসলাম।

গতকাল রবিবার (৬ নভেম্বর) ঢাকা মহানগরসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে তাদেরকে গ্রেফতার করে গোয়েন্দা-ওয়ারী বিভাগের ওয়ারী জোনাল টিম। এ সময় তাদের হেফাজত থেকে ১২টি মোবাইল ফোন, ১৯টি সিম ও হ্যাকিং কাজে ব্যবহৃত একাধিক ইমো আইডি জব্দ করা হয়।

আজ সোমবার (৭ নভেম্বর) দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে উপস্থিত সাংবাদিকদের সামনে এ বিষয়ে বিস্তারিত তুলে ধরেন ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।

তিনি বলেন, ৯ অক্টোবর কাতার প্রবাসীর ইমো অ্যাকাউন্ট হ্যাক করে বাংলাদেশে অবস্থিত তার ভাইয়ের নিকট থেকে তিন দফায় ৬৫ হাজার টাকা নেয় একটি চক্র। পরে বিষয়টি বুঝতে পেরে তিনি ডিবি পুলিশের সহায়তা নেন। গোয়েন্দা-ওয়ারী বিভাগের মুহাম্মদ আশরাফ হোসেনের নির্দেশনায় তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।

গোয়েন্দা প্রধান বলেন, এরা মধ্যপ্রাচ্যে বসবাসরত বাংলাদেশিদের ইমো অ্যাকাউন্ট টার্গেট করে হ্যাংকিংয়ের ফাঁদ পাতে। পরবর্তী সময়ে দেশে অবস্থানরত আত্মীয়-স্বজনের ইমো নাম্বারে অসুস্থতা বা দুর্ঘটনার কথা বলে মোটা অংকের টাকা চায়। এভাবে ৫০ লক্ষাধিক টাকা হাতিয়ে নেওয়ার তথ্য পাওয়া গেছে। আর কীভাবে হ্যাকিং করতে হয়, কীভাবে মানুষকে মিষ্টি কথায় ভোলাতে হয় সে বিষয়ে তারা ট্রেনিং নিয়ে থাকে। তাদেরও গ্রেফতার অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার ও অর্থ প্রদানের ক্ষেত্রে অবশ্যই সতর্কতা অবলম্বন এবং নিজের পিন, ওটিপি নাম্বার কাউকে না দেওয়ার পরামর্শ দেন তিনি। কেউ এমন প্রতারক চক্রের খপ্পরে পড়লে ডিবি পুলিশকে অবহিত করার আহ্বান জানান তিনি।

ভিকটিমের ওয়ারী থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে রুজুকৃত মামলায় গ্রেফতারকৃতদের বিজ্ঞ আদালতে রিমান্ডের আবেদনসহ প্রেরণ করা হয়েছে, মর্মে যোগ করেন তিনি।

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা-ওয়ারী বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মুহাম্মদ আশরাফ হোসেনের নির্দেশনায় অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার মোঃ তরিকুর রহমানের তত্ত্বাবধানে ওয়ারী জোনাল টিমের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার মোঃ আহসান খানের নেতৃত্বে অভিযানটি পরিচালিত হয়।