২৩ অক্টোবর ২০২২, ১১:৫২

সাবেক ডিআইজি বজলুরের ৫ বছরের কারাদণ্ড

রায় ঘোষণার পর বরখাস্ত ডিআইজি প্রিজন বজলুর রশিদকে কারাগারে নেওয়া হচ্ছে  © সংগৃহীত

তিন কোটি ১৪ লাখ ৩৫ হাজার ৯০২ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুদকের করা মামলায় সাবেক ডিআইজি বজলুর রশীদকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে তাকে পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে ৬ মাসের জেল দেওয়া হয়েছে।

রোববার (২৩ অক্টোবর) ঢাকা বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক ইকবাল হোসেন এ রায় ঘোষণা করেন।

দুদকের আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, দুদক আইন ২৭ (১) ধারায় অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাকে এ কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এছাড়া রাষ্ট্রের অনুকূলে তিন কোটি ১৪ লাখ ৩৫ হাজার ৯০২ টাকা বাজেয়াপ্ত ঘোষণা করা হয়েছে।

২০১৯ সালের ২০ অক্টোবর সস্ত্রীক বজলুর রশীদকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকে দুদক। জিজ্ঞাসাবাদের পর ডিআইজিকে গ্রেফতার করা হয়। ওইদিনই দুদকের উপ-পরিচালক মো. সালাউদ্দিন বাদী হয়ে বজলুর রশীদের বিরুদ্ধে মামলা করেন।

আরও পড়ুন: শিক্ষার্থী মৃত্যুতে মুখোমুখি রামেক-রাবি, উভয়ের মামলা নিল পুলিশ।

২০২০ সালের ২২ অক্টোবর মামলায় বজলুর রশীদের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত।

গত ২৬ আগস্ট মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) উপ-পরিচালক নাসির উদ্দীন বজলুর রশীদের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন।

মামলার চার্জশিটে বলা হয়েছে, বজলুর রশীদ রূপায়ন হাউজিং স্টেট থেকে ঢাকার সিদ্ধেশ্বরী রোডের ৫৫/১ (পুরাতন) ৫৬/৫৭ (নতুন) নির্মাণাধীন স্বপ্ন নিলয় প্রকল্পে ২৯৮১ বর্গফুট আয়তনের অ্যাপার্টমেন্ট কেনেন। অ্যাপার্টমেন্টের দাম বাবদ তিন কোটি আট লাখ টাকা পরিশোধ করেছেন। তবে, ফ্ল্যাটের দাম পরিশোধ করা ওই অর্থের কোনো বৈধ উৎস দেখাতে পারেননি তিনি।

এমনকি অ্যাপার্টমেন্ট কেনার বিষয়ে কোনো তথ্য নিজের আয়কর নথিতে দেখাননি বজলুর রশীদ। ওই তিন কোটি আট লাখ টাকা জ্ঞাত আয় উৎসের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ। সব মিলিয়ে তার বিরুদ্ধে প্রায় সোয়া তিন কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুদক আইন ২৭ (১) ধারায় অভিযোগপত্র জমা দেওয়া হয়।