২০ অক্টোবর ২০২২, ১২:৫৭

শিক্ষার্থীদের থেকে চাঁদা নিয়ে আয়ার বেতন দেন প্রধান শিক্ষক

হবিগঞ্জ  © ফাইল ছবি

হবিগঞ্জের বানিয়াচং উপজেলার জাতুকর্ণপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সাইফুল আলমের বিরুদ্ধে বিদ্যালয় চলাকালীন সময়ে কোচিং বাণিজ্য, অর্থ আত্মসাৎসহ বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। এমনকি তার বিরুদ্ধে  শিক্ষার্থীদের থেকে চাঁদা আদায়ের অভিযোগও উঠেছে। 

অভিযোগে বলা হয়, পঞ্চম শ্রেণির সমাপনী পরীক্ষা না থাকা সত্ত্বেও সকাল ১০টা থেকে বেলা ১২টা পর্যন্ত এ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের কোচিং করান এবং তাদের প্রতি জনের কাছ থেকে মাসে ২০০ টাকা করে আদায় করেন প্রধান শিক্ষক।

এছাড়া তিনি সরকারি নীতিমালা অমান্য করে স্কুলের দপ্তরী কাম-নৈশ প্রহরী থাকাকালীন একজন আয়া নিয়োগ করেন। আর বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ২০ টাকা করে প্রতি মাসে ১২ হাজার টাকা আদায় করেন। কিন্তু আয়াকে দিয়ে বেতন দেন মাত্র দেড় হাজার টাকা এবং বাকী অংশ তিনি আত্মসাৎ করেন। আর নিয়মিত বিভিন্ন অযুহাত দেখিয়ে বেলা ১২টা বাজলেই তিনি বিদ্যালয় থেকে চলে যান বলেও অভিযোগে উল্লেখ করা হয়।

সম্প্রতি ওই বিদ্যালয়ের কয়েকজন অভিভাবক বিভাগীয় উপ-পরিচালক বরাবর অভিযোগপত্র জমা দিয়েছেন।

এর ভিত্তিতে অভিযোগ তদন্তের জন্য উপজেলা রিসোর্স সেন্টারের প্রশিক্ষককে দায়িত্ব দিয়েছেন প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের সিলেট বিভাগীয় উপ-পরিচালক।

প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিপত্র অনুযায়ী বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অর্থের বিনিময়ে বিদ্যালয়ের শ্রেণি কক্ষে কোচিং করানোর নিয়ম নেই। এ বিষয়ে কয়েকবার অনুশাসনও জারি করা হয়। এ নির্দেশনা অমান্য করলে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও পরিপত্রে উল্লেখ আছে। বিষয়টি জানার পরেও প্রধান শিক্ষক সাইফুল আলম বিদ্যালয় চলাকালীন সময়ে কোচিং বাণিজ্য করে যাচ্ছেন বলে অভিযোগ করা হয়েছে।

বানিয়াচং উপজেলা রিসোর্স সেন্টারের প্রশিক্ষক কামাল হোসেন মজুমদার বলেন, প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ তদন্তের জন্য আমাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। আগামী সপ্তাহে সরেজমিন গিয়ে তদন্ত শুরু করবো।

এদিকে অভিযোগগুলো মিথ্যা দাবি করে প্রধান শিক্ষক সাইফুল আলম বলেন, আমি বিদ্যালয়ের জায়গা সংক্রান্ত একটি মামলা পরিচালনা করছি। এর জের ধরে আমার বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ আনা হয়েছে। তদন্ত করা হলে সেগুলো মিথ্যা প্রমাণিত হবে।