১৩ অক্টোবর ২০২২, ১৭:৫৫

স্কুলছাত্রী ধর্ষণের অপরাধে প্রধান শিক্ষকের যাবজ্জীবন

বিচার   © প্রতিকী ছবি

ফেনীর দাগনভূঁঞা উপজেলায় পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণের অপরাধে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ আবদুল করিম খান বাহাদুরকে (৬০) যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। সেই সঙ্গে তাকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ৬ মাসের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

বুধবার দুপুরে ফেনীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোহাম্মদ ওসমান হায়দার আসামির উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন।

দণ্ডিত শিক্ষক আবদুল করিম দাগনভূঞা উপজেলার জায়লস্কর ইউনিয়নের খুশিপুর গ্রামের বাসিন্দা। তিনি খুশিপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ছিলেন। 

আরও পড়ুন: সমাবর্তন চায় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা 

আদালত ও মামলার সূত্রে জানা যায়, ২০১৯ সালের ২৮ মার্চ সকাল ৯টার দিকে আবদুল করিম খান বাহাদুর ভুক্তভোগী ওই ছাত্রীকে স্কুলে আসতে বলেন। স্কুলে তখন কোনো শিক্ষক ও শিক্ষার্থী না থাকায় ওই ছাত্রীকে একটি শ্রেণিকক্ষে নিয়ে ভয়ভীতি দেখিয়ে ধর্ষণ করেন ওই শিক্ষক। বিষয়টি কাউকে না বলার জন্য ওই শিক্ষক ভুক্তভোগী ছাত্রীকে বিভিন্ন ধরনের হুমকি দেন। ওই দিনের পর ওই শিক্ষক আরও কয়েকবার ওই ছাত্রীকে ভয়ভীতি দেখিয়ে ধর্ষণ করেন।

কিছুদিন পর ওই শিক্ষকের চাপ ও হুমকি সইতে না পেরে ভুক্তভোগী ছাত্রী এ ঘটনা তার পরিবারকে জানায়। এরপর ওই ছাত্রীর বড় বোন বাদী হয়ে ২০১৯ সালের ৫ এপ্রিল প্রধান শিক্ষক আবদুল করিম খান বাহাদুরকে আসামি করে দাগনভূঞা থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা করেন।

দাগনভূঞা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. মোবারক হোসেন মামলাটি তদন্ত শেষে আসামির বিরুদ্ধে আদালতের অভিযোগপত্র দাখিল করেন। এ মামলায় বাদীসহ মোট ১৪ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়।

আদালতের সরকারি কৌঁসুলি হাফেজ আহম্মদ রায় জানান, উপজেলার খুশিপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবদুল করিম খান বাহাদুরকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। রায় ঘোষণার সময় তিনি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। পরে তাকে ফেনী জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।