০৬ অক্টোবর ২০২২, ০৮:২৫

লাইভ চ্যাট ও ভিডিওর ফাঁদে ফেলে ১০৯ কোটি টাকা আত্মসাৎ বিগোর

লোগো  © সংগৃহীত

বাংলাদেশ থেকে প্রতারণার মাধ্যমে প্রায় ১০৯ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে চীনভিত্তিক ভিডিও শেয়ারিং অ্যাপ বিগো টেকনোলজি লিমিটেড। এ ঘটনায় গত ২৫ সেপ্টেম্বর সিআইডির এসআই সোহেল রানা বাদি হয়ে বিগো (বাংলা) লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) চীনা নাগরিক ইয়াও জিসহ পাঁচজনের নামে মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে মামলা করেছেন।

মামলার তথ্য অনুযায়ী, বিগোর (বাংলা) কর্মী নাজমুল হক ভার্চুয়াল মুদ্রা ডায়মন্ড বিক্রির বাংলাদেশের প্রতিনিধি। বিগো লাইভ ব্যবহারকারীরা তাঁর কাছ থেকে ডায়মন্ড কিনতেন।

পরে তিনি সেই টাকা বিগোর (বাংলা) ব্যাংক হিসাবে জমা দিতেন। ভার্চুয়াল মুদ্রা বিক্রির নামে গ্রাহকের কাছ থেকে মোট ১০৮ কোটি ১৯ লাখ ৪৮ হাজার সিঙ্গাপুরভিত্তিক বিগো দেশে বিগো (বাংলা) ৮৪৭ টাকা আদায় করেছে বিগো (বাংলা)। এর মধ্যে লিমিটেড নামে যৌথ মূলধন কোম্পানি ও ৭৯ কোটি ৩২ লাখ টাকা পাচার করা হয়েছে।

সিআইডি জানিয়েছে, প্রতারণার মাধ্যমে এই বিপুল অঙ্কের অর্থ আদায় করা ও এর পাশাপাশি অর্থ পাচারের প্রাথমিক সত্যতা পেয়েছে তারা। তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে গুলশান থানায় করা এ মামলায় ইয়াওয়ের বিরুদ্ধে ৭৯ কোটি ৩২ লাখ টাকা বিদেশে পাচারের অভিযোগ আনা হয়।

আরও পড়ুন: ২ হাজার কোটি টাকা পাচার: ফরিদপুর জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি গ্রেপ্তার

এর আগে গত বছরের জুন মাসে বিগো অ্যাপের লাইভ ভিডিওর মাধ্যমে অশ্লীলতা ছড়ানোর অভিযোগে ইয়াওসহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। পরে তাদের বিরুদ্ধে রাজধানীর পল্টন থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা ও পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা হয়।

মামলার অপর চার আসামি হলেন বিগোর (বাংলা) কর্মী মোস্তাফা সাইফ, আরিফ হোসেন, এস এম নাজমুল হক ও আসমা উল হুসনা। পাঁচ আসামিই কারাগারে আছেন।

সিআইডি জানায়, বিগোর ভিডিও শেয়ারিং অ্যাপ ‘লাইভ চ্যাট’ ও ‘লাইভ ভিডিও’র মাধ্যমে যৌন উত্তেজক অশ্লীল সংলাপ ও অঙ্গভঙ্গির ভিডিও চিত্রের ফাঁদে ফেলা হয় ব্যবহারকারীদের। এ জন্য তাঁদের কিনতে হয় ভার্চুয়াল মুদ্রা ডায়মন্ড অথবা বিনস ।

মামলার বাদী সিআইডির উপপরিদর্শক সোহেল রানা বলেন, তিনি বিগো লাইভের বিরুদ্ধে এক বছরের বেশি সময় ধরে অর্থ পাচারের অভিযোগ অনুসন্ধান করেন। পরে এ-সংক্রান্ত কাগজপত্র জোগাড়ের পর গত ২৫ সেপ্টেম্বর মামলা করেন। মামলায় বিগো লিমিটেড, এর কর্মী এস এম নাজমুল হক, আরিফ হোসেন ও মনসন হোল্ডিং নামের একটি প্রতিষ্ঠানকে আসামি করা হয়েছে।