সেই ছাত্রীকে উদ্ধার, হদিস মিলছে না প্রধান শিক্ষকের
নাটোরের গুরুদাসপুরের সেই স্কুলছাত্রীকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। তবে মামলার আসামি প্রধান শিক্ষক ও তার দুই ভাইয়ের হদিস পাওয়া যায়নি। রোববার (২ অক্টোবর) নাজিরপুর এলাকার একটি বাড়িতে অভিযান চালিয়ে ওই ছাত্রীকে উদ্ধার করে পুলিশ। তবে অন্যরা পালিয়ে যায়। গুরুদাসপুর থানার ওসি আব্দুল মতিন এ তথ্য জানান। ওসি বলেন, জবানবন্দি রেকর্ডের জন্য স্কুলছাত্রীকে আদালতে পাঠানো হয়েছে। অন্যদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।
মামলার প্রধান আাসামি ফিরোজ আহমেদ (৪৮) গুরুদাসপুর উপজেলার নাজিরপুর মরিয়ম মেমোরিয়াল বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। তিনি নাজিরপুরের মৃত গোলাম মোস্তফার ছেলে। প্রথম স্ত্রী ও শ্বশুরকে মারধরের পর ডিভোর্স দিয়ে দ্বিতীয় বিয়ে করেছেন তিনি।
আরো পড়ুন: ছাত্রীকে নিয়ে পালিয়ে গেলেন প্রধান শিক্ষক!
জানা গেছে, প্রধান শিক্ষক হিসেবে এক ছাত্রীর মাকে ধর্মবোন ডাকেন ফিরোজ। সে সুবাদে তাদের বাড়িতে যোগাযোগ আর যাতায়াত ছিল। ওই ছাত্রী এবার এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে। তাকে প্র্যাকটিক্যাল শেখাতে স্কুলে আসতে বলেন। পরে তাকে নিয়ে উধাও হয়ে যান প্রধান শিক্ষক।
বিষয়টি জানতে পেরে তাকে আনতে ছাত্রীর বাবা ও চাচারা রাজশাহীতে যান। সেখানে জানতে পারেন ওই ছাত্রীকে নিয়ে প্রধান শিক্ষক একটি বাসা ভাড়া নিয়েছেন। তাদের মারধর করে প্রধান শিক্ষক। পরে সেখান থেকেও উধাও হন প্রধান শিক্ষক। এ ঘটনায় মেয়ের মা প্রধান শিক্ষক ও তার দুই ভাইয়ের বিরুদ্ধে অপহরণ মামলা করেন।