তাসমিনার গলায় বটি, গান বাজায় কেউ শুনতে পায়নি ছেলের কান্না
দুদিন ধরে ভুগছিলেন ঠান্ডা, জ্বরে। আনারস কিনে নিয়ে আসলে তা দেখে ছেলে খাওয়ার বায়না ধরে, কান্নাকাটি শুরু করে। তাসমিনা বাধ্য হয়ে আনারস কাটার জন্য বটি নিয়ে বসেন। খোসা ছাড়ানোর একপর্যায়ে তিনি বটির ওপর পড়ে গেলে সুঁচালো মাথা গলায় বিঁধে যায়। এ সময় ছেলে তাওহীদ (৫) ছাড়া বাসায় আর কেউ কেউ ছিল না।
মায়ের এ অবস্থা দেখে রক্ত বের হচ্ছিল যেখান দিয়ে সেখানে কাপড় চেপে ধরেন তাওহীদ। চিৎকার করে কান্না শুরু করেন। তবে পাশের বাড়িতে উচ্চশব্দে বিয়ের গান বাজছিল। ফলে কান্নাও কেউ শুনতে পায়নি। কিছুক্ষণ পর মায়ের সাড়াশব্দ না পেয়ে তাওহীদ পাশের বাড়ির লোকজনকে ডেকে আনে। তাহমিনার স্বামীর বড় ভাই মো. সিরাজুল আলম বলছিলেন কথাগুলো।
আনারস কাটার সময় তাসমিনা (২৮) ভারসাম্য হারিয়ে বটির ওপর পড়েন। গলা বিঁধে গেলেও বাড়িতে কেউ না থাকায় মারা যান। গত শুক্রবার রাতে গাজীপুরের কাপাসিয়ার ভেড়ারচলা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। শনিবার জানাজার নামাজ শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়েছে।
আরো পড়ুন: আত্মগোপনে ছিলেন মরিয়ম মান্নানের মা
সিরাজুল আলম বলেন, ছোট ভাই সেনাবাহিনীতে চাকরি করে। কর্মস্থল বগুড়ায়। সকালে বাড়ি আসে। তাওহীদের কাছ থেকে ঘটনার বিবরণ শুনে সব জানতে পারেন।
কাপাসিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এএফএম নাসিম বলেন, এটি একটি দুর্ঘটনা। বাচ্চাকে আনারস কেটে দিতে গিয়ে তিনি বটিতে পড়ে গিয়ে গলায় আঘাত পান। তখন ছেলে ছাড়া বাড়িতে কেউ ছিল না। কারও কোনো অভিযোগ না থাকায় ময়নাতদন্তে ছাড়াই দাফন হয়েছে মরদেহ।