‘ধর্ষণে ব্যর্থ হয়ে স্কুলছাত্রীকে বালিশ চাপা দিয়ে হত্যা’
নোয়াখালীতে অষ্টম শ্রেণির ছাত্রীকে হত্যার কথা স্বীকার করে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে গ্রেফতার সাবেক গৃহশিক্ষক আবদুর রহিম রনি।
শনিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে নোয়াখালীর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ এমদাদের আদালতে এ জবানবন্দি দেয় রনি। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নোয়াখালীর পুলিশ সুপার মো. শহীদুল ইসলাম।
স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দির বরাত দিয়ে পুলিশ সুপার বলেন, ‘ঘরে ঢুকে হাত-পা বেঁধে স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের চেষ্টা করেছিল গৃহশিক্ষক আবদুর রহিম রনি। তবে ধর্ষণে ব্যর্থ হয়ে ছাত্রীকে বালিশ চাপা দিয়ে হত্যা করেছে। এরপর রান্না ঘর থেকে ছুরি এনে হাতের রগ এবং গলা কেটে মৃত্যু নিশ্চিত করে বাঁধন খুলে দেয়।’
আরও পড়ুন: ছিলেন স্কুলের টপার, দেহ ব্যবসায় না নামায় হত্যা?
প্রসঙ্গত, নোয়াখালী পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ডের লক্ষ্মীনারায়ণপুর ইউনিয়নের নিজ বাড়ি থেকে বৃহস্পতিবার (২২ সেপ্টেম্বর) রাত ৮টার দিকে তাসনিয়া হোসেন অদিতা (১৪) নামের অষ্টম শ্রেণির এক স্কুলছাত্রীর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। তাসনিয়া হোসেন অদিতা পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ডের লক্ষ্মীনারায়ণপুর ইউনিয়নের আবুল খায়ের পেশকার বাড়ির মৃত রিয়াজ হোসেনের মেয়ে। সে নোয়াখালী সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল।
এ ঘটনায় গৃহশিক্ষক আবদুর রহিম রনিসহ (২৫) ৪ জনকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে প্রেরণ করা হয়। তবে গৃহশিক্ষক আবদুর রহিম রনিকে ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।