মোটরসাইকেলে এসে ছাত্রলীগ কর্মীকে হত্যা করে চলে গেল ওরা
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে রাকিব হাসান (২২) এক ছাত্রলীগ কর্মীকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় এক শ্রমিক লীগ নেতার বাড়িতে আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। বুধবার (২১ সেপ্টেম্বর) রাতে উপজেলার গোলাকান্দাইলের কাঠপট্টি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
রাকিব গোলাকান্দাইল এলাকার হারুক মিয়ার ছেলে। উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক দপ্তর সম্পাদক আতিকুর রহমান মঈনের অনুসারী তিনি।জ্যেষ্ঠ সহকারী পুলিশ সুপার (রূপগঞ্জ) আবির হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, পূর্ব বিরোধ ও আধিপত্য বিস্তার নিয়ে রাকিবের সঙ্গে গোলাকান্দাইল ইউনিয়ন শ্রমিক লীগ নেতা দেলোয়ার হোসেনের দ্বন্দ্ব চলছিল। তাদের দুজনের নামেই মামলা আছে। জেলও খেটেছেন। তাদের দ্বন্দ্বের জেরে রাকিবকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটেছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রাত সাড়ে ৮টার দিকে ৮ থেকে ১০ জন মোটরসাইকেলে কাঠপট্টি এলাকায় যায়। তাদের সঙ্গে রামদা ও চাপাতিসহ দেশীয় অস্ত্র ছিল। রাকিবকে পাওয়া মাত্রই তারা এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করে চলে যান।
ভুলতা পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক মাহাবুবুর রহমান বলেন, অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে রাকিবকে ফেলে যায় দুর্বৃত্তরা। তার বাম হাত বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। পরে হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের মর্গে।
আরো পড়ুন: ফেসবুকে স্ট্যাটাসের পর শিক্ষকের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার, ছাত্রী আটক
হত্যার খবর ছড়িয়ে পড়লে রাতে বিক্ষুব্ধরা দেলোয়ারের বাড়িতে আগুন দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ ও র্যাব পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পরে ফায়ার সার্ভিসের আগুন নিভিয়ে ফেলে।
কাঞ্চন ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন মাস্টার রফিকুল ইসলাম বলেন, ছয়টি টিনের ঘর ও একটি দোকানে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। আগুন নেভাতে গেলে বাধা দেয়। পুলিশ ও র্যাব পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনলে আগুন নেভানো হয়। এতে কেউ হতাহত হয়নি।
উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ফরিদ ভূইয়া মাছুম বলেন, ছাত্রলীগের কর্মী হিসেবে রাকিব সভা-সমাবেশে যোগ দিতেন। যারা তাকে হত্যা করেছে, তাদের বিচার করতে হবে।
রূপগঞ্জ থানার পুলিশ পরিদর্শক হুমায়ুন কবির বলেন, রাকিব হত্যায় জড়িতরা পালিয়ে গেছে। তাদের গ্রেপ্তারে পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে। যারা আগুন দিয়েছে, তাদেরও আইনের আওতায় আনা হবে।