শিক্ষকের ভয়ে মেস ছেড়ে বাড়িতে গেলেন কলেজছাত্রী

প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি  © ফাইল ফটো

মাদারীপুরের ডাসার উপজেলায় সরকারি শেখ হাসিনা একাডেমি অ্যান্ড উইমেন্স কলেজের এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে দ্বাদশ শ্রেণির এক ছাত্রীকে যৌন হয়রানি ও শ্লীলতাহানির অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনার দুই মাস হতে চললেও কলেজ কর্তৃপক্ষ ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে এখনো শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়নি। এর ফলে ভয়ে ওই ছাত্রী ছাত্রবাস ছেড়ে বাড়িতে চলে গেছেন।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ওই শিক্ষক কলেজের ক্লাস শেষে ক্যাম্পাসেই ছাত্রীদের প্রাইভেট পড়াতেন। গত ২৪ জুলাই ওই ছাত্রী প্রাইভেট পড়তে গেলে ওই শিক্ষক তাকে নিয়ে ক্যাম্পাসের ২০৪ নম্বর কক্ষে যান। পড়ানো শেষে ওই ছাত্রীকে আটকে রেখে তিনি যৌন হয়রানি করেন। পরে ওই ছাত্রী কৌশলে ওই কক্ষ থেকে পালিয়ে বেগম রোকেয়া ছাত্রীনিবাসে চলে যায়। এরপর ওই ছাত্রী শিক্ষকের বিচার চেয়ে ১ আগস্ট অধ্যক্ষের কাছে একটি লিখিত অভিযোগ দেয়। এক মাসের বেশি সময় পর ৫ সেপ্টেম্বর অভিযুক্ত ওই শিক্ষককে কারণ দর্শানো নোটিশ (শোকজ) দেন প্রতিষ্ঠানটির অধ্যক্ষ জাকিয়া সুলতানা। ১৪ সেপ্টেম্বর কারণ দর্শানো নোটিশের জবাব দিয়েছেন অভিযুক্ত ওই শিক্ষক। 

মুঠোফোনে ওই ছাত্রী বলে, ‘আমি স্যারকে খুব শ্রদ্ধা করতাম। ওই দিন স্যার আমার সঙ্গে যে আচরণ করেছেন, তা আমি মানতে পারছি না। আমি অধ্যক্ষ ম্যাডামের কাছে বিচার চাইছি, দেড় মাসেও কোনো সুরাহা পাইনি। উল্টো অভিযোগ দেওয়ার পর স্যার আমার সহপাঠীদের কাছে আমার নামে মিথ্যা অপবাদ দেওয়া শুরু করেন এবং আমাকে অভিযোগ তুলে নিতে ভয় দেখান। বিষয়টি আমার পরিবারকে জানালে তারা আমাকে ক্যাম্পাস থেকে বাড়িতে নিয়ে এসেছে। আর কলেজে যেতে দিচ্ছে না।’

অভিযোগের বিষয় জানতে চাইলে ওই শিক্ষক বলেন, ‘একজন শিক্ষকের সঙ্গে ছাত্রীর যে সম্পর্ক থাকা দরকার, আমারও সেটাই আছে। এখানে আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ এসেছে, তা পুরোটাই মিথ্যা। উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হয়ে কেউ ওই ছাত্রীকে দিয়ে এ কাজটি করাচ্ছে।’

জানতে চাইলে ওই কলেজের অধ্যক্ষ জাকিয়া সুলতানা বলেন, ক্যাম্পাসে প্রাইভেট পড়ানোর সময় এক ছাত্রী শিক্ষকের যৌন হয়রানির শিকার হয়েছেন। এ ছাড়া ওই ছাত্রীর সঙ্গে অশোভন আচরণ, শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করা হয়েছে বলে লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে। বিষয়টি দুঃখজনক বলে মন্তব্য করেন তিনি।


সর্বশেষ সংবাদ