কেন্দ্রেই পরীক্ষার্থীদের পিটিয়ে স্কেল ভাঙলেন কর্মকর্তা
কুমিল্লার চান্দিনায় পরীক্ষা চলাকালে কেন্দ্রে দাখিল পরীক্ষার্থীদের পিটিয়ে দা তিনটি স্কেল ভাঙার অভিযোগ উঠেছে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তার বিরুদ্ধে। পরীক্ষার্থীদের লিখিত অভিযোগের পর শনিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. সালাউদ্দীনকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) পরীক্ষার প্রথম দিনে চান্দিনা আল-আমিন ইসলামিয়া কামিল মাদ্রাসা পরীক্ষা কেন্দ্রের ৯ ও ১০ নম্বর কক্ষে এ ঘটনা ঘটে। কোরআন মাজীদ পরীক্ষা চলাকালে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও সহকারী প্রোগ্রামার মো. সালাউদ্দীন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটান।
পরীক্ষার্থীদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, অন্তত ১১ জন দাখিল পরীক্ষার্থীকে মারধর করা হয়েছে। এর মধ্যে চান্দিনা আল-আমিন ইসলামিয়া কামিল মাদ্রাসার আটজন ও আবেদা নূর ফাযিল মাদ্রাসার তিনজন।
ভুক্তভোগী পরীক্ষার্থীরা জানান, কোরআন মাজীদ বিষয়ে এমসিকিউ অংশের পরীক্ষা চলাকালে ওএমআর এ সেট কোড বৃত্ত ভরাট না করায় ক্ষিপ্ত হয়ে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা স্কেল দিয়ে পিটিয়েছেন।
অভিভাবকদের অভিযোগ, ওই ঘটনার পর তাদের সন্তানরা মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। অনেকেই ঠিকমতো তাদের পরীক্ষা দিতে পারেনি।
আরো পড়ুন: প্রেমের বিয়ে না মানায় আত্মহত্যা বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রের!
প্রত্যবেক্ষক শিক্ষিকা মোসা. রুজিনা আক্তার জানান, এমসিকিউ পরীক্ষার সময় ২০ মিনিট। তবে ১৫ মিনিট অতিবাহিত হলেও কেউ সেট কোড ভরাট করেনি। বিষয়টি নিয়ে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা পরীক্ষার্থীদের নির্দেশ দিলে হট্টগোল করে। এক পর্যায়ে ক্ষুব্ধ হয়ে মারধর করেন তিনি।
মো. সালাউদ্দীন বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, কাউকে পেটানোর ঘটনা ঘটেনি। সেট কোড ভরাট না করায় শুধু ধমক দিয়েছি। প্রত্যাহারের বিষয়টি জানা নেই। ইউএনও তার সঙ্গে থাকার জন্য বলেছেন। আমি শনিবার সঙ্গে ছিলাম।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাপস শীল বলেন, কেন্দ্র সচিব বিষয়টি অবহিত করেছেন। সুষ্ঠুভাবে পরীক্ষা গ্রহণের লক্ষ্যে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে সরিয়ে অন্যকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।