১৫ সেপ্টেম্বর ২০২২, ০৯:০৬

এসএসসি পরীক্ষায় বসতে পারছেন না ধর্ষণের শিকার মেয়েটি

ধর্ষণ  © সংগৃহীত

খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলায় ধর্ষণের শিকার মেয়েটি এবার এসএসসি পরীক্ষা দিচ্ছে না। ওই ঘটনার পর এখনও বাইরে বের হয়নি সে। স্কুলে যাওয়াও বন্ধ। ৪ মাস আগে মামলা হলেও এখনও তদন্তে কোনো অগ্রগতি নেই। প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে আসামিরা। মেয়েটির পরিবারকে চাপ দিচ্ছে মামলা তুলে নিতে। 

পরিবার সূত্রে জানা যায়, শরাফপুর ইউনিয়নের বৃত্তি ভুলবাড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা জিয়াউল হক মিঠুর ছেলে সজল শেখ প্রায়ই মেয়েটিকে কুপ্রস্তাব দিত। তাকে নিষেধ করা সত্ত্বেও পিছু ছাড়ত না। তাই ভয়ে মেয়েটিকে তার মামার বাড়ি পাঠিয়ে দেওয়া হয়। প্রাইভেট পড়ার উদ্দেশে ১৫ এপ্রিল বাড়ি থেকে বের হয় মেয়েটি। সজল শেখসহ দুজন তার রাস্তা আটকে আবারও কুপ্রস্তাব দেয়। রাজি না হওয়ায় হেলমেট দিয়ে মেয়েটির মাথায় বাড়ি দেয় সে। মেয়েটি অচেতন হয়ে পড়লে রতনখালির মৎস্য ঘেরে নিয়ে গিয়ে মেয়েটিকে ধর্ষণ করে তারা। মেয়েটির সাথে থাকা স্কুল ব্যাগসহ বই-খাতা আগুনে পুড়ে ফেলা হয়। মেয়েটির মোবাইলে ধর্ষণ ও আগুন দেওয়ার ভিডিও ধারণ করে তারা। অতঃপর তা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছেড়ে দেয়। 

আরও পড়ুন: সড়কে তাঁদের সঙ্গে কথা বলছিল পুলিশ, পিষে দিল লরি

এ বিষয়ে ওই স্কুলছাত্রীর বাবা বলেন, অনেক খোঁজাখুঁজি করেও মেয়েকে পাচ্ছিলাম না। ১৬ এপ্রিল সকালে খবর পেয়ে মৎস্য ঘেরে পৌঁছালে আমাদের দেখে ধর্ষকরা পালিয়ে যায়। বিবস্ত্র ও অচেতন অবস্থায় মেয়েকে উদ্ধার করি। ডুমুরিয়া থানায় মামলা করতে গেলে পুলিশ মামলা গ্রহণ না করে সময় নষ্ট করতে থাকে। তাই খুলনার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলা করি ২৬ এপ্রিল। তারপর ৪ মাস পার হয়েছে। কিন্তু তদন্তে কোনো অগ্রগতি নেই। ছেলের মামা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও বাবা অর্থশালী হওয়ায় পুলিশের সহযোগিতা করছে না। 

তিনি আরও বলেন: 'আমার মেয়েটার আজ থেকে এসএসসি পরীক্ষা দেওয়ার কথা। সে পরীক্ষা দিতে পারল না।' 

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআই ইন্সপেক্টর মো. শহীদুল ইসলাম জানান, আদালতের আদেশ পাওয়ার পর আমরা তদন্ত শুরু করেছি। উভয়পক্ষের বক্তব্য শুনেছি। বিষয়টি খুবই স্পর্শকাতর হওয়ায় তদন্তে সময় লাগছে।