চবি ছাত্রীর যৌন নিপীড়নের ভিডিও ছড়ানো বন্ধের নির্দেশ
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ছাত্রীকে যৌন নিপীড়নের ভিডিও ছড়ানো বন্ধে ব্যবস্থা নিতে তদন্ত কর্মকর্তাকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। ওই ঘটনায় করা মামলার আসামি নুর হোসেন শাওনের জামিনও নামঞ্জুর করেছেন। চট্টগ্রাম জেলা ও দায়রা জজ আজিজ আহমেদ ভূঞা বুধবার বিকালে এ আদেশ দেন।
জেলা পিপি শেখ ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী বলেন, শাওন নামে এক আসামি জামিন চেয়েছিলেন। আদালত তা নামঞ্জুর করেছেন। ওই ছাত্রীকে যৌন নিপীড়নের ভিডিও যেন ছড়িয়ে না পড়ে, সে বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মামলার তদন্ত কর্মকর্তাকে সহযোগিতা করার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
আদালতে উপস্থিত ছিলেন- ওই ছাত্রী, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. রবিউল হাসান ভূইয়া, সহকারী প্রক্টর অরুপ বড়ুয়া ও তদন্ত কর্মকর্তা মিজানুর রহমান। বুধবার আদালতে আসামি নুর হোসেনকে শনাক্ত করেন ওই ছাত্রী। নুর হোসেন তার পিঠে আঘাত করেন বলে জানান তিনি।
আরো পড়ুন: সড়কে তাঁদের সঙ্গে কথা বলছিল পুলিশ, পিষে দিল লরি
প্রক্টর রবিউল হাসান আদালতকে জানান, ঘটনার পর তারা প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা নিয়েছেন। পাশাপাশি ঘটনায় জড়িত ছাত্রদের বহিষ্কার করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ১৭ জুলাই রাতে বন্ধুর সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের বোটানিক্যাল গার্ডেন এলাকা থেকে হলে ফিরছিলেন এক ছাত্রী। তখন তাদের কাছে চাঁদা দাবি করেন আসামিরা। দুজনকে আটকে রেখে মারধর করেন। একপর্যায়ে ছাত্রীকে বিবস্ত্র করে শ্লীলতাহানির ভিডিও ধারণ করেন। তাদের কাছ থেকে মোবাইল ও মানিব্যাগ নিয়ে ছেড়ে দেন।
এ ঘটনায় চার জনকে গত ২৩ জুলাই গ্রেফতার করে র্যাব-৭ । তারা হলেন ইতিহাস বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র মো. আজিম (২৩) ও নৃবিজ্ঞান বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের নুরুল আবছার বাবু (২২), হাটহাজারী কলেজের শিক্ষার্থী মো. নুর হোসেন শাওন (২২) ও দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র মাসুদ রানা মাসুদ (২২)। পরে সাইফুল নামে আরেকজনকে গ্রেফতার করে র্যাব।