সড়কে তাঁদের সঙ্গে কথা বলছিল পুলিশ, পিষে দিল লরি
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মিরসরাইয়ের সোনাপাহাড় এলাকায় হাইওয়ে পুলিশের সদস্যরা দুর্ঘটনাকবিলত জোনাকি পরিবহনের বাস ও লরিচালকের সঙ্গে কথা বলছিলেন। সড়কের পাশে দাঁড়িয়ে ১৫-২০ জন মানুষ। রাত এমন সময়ে পেছন দিক থেকে আসা কাভার্ডভ্যান চাপা দিলে ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান তাদের মধ্যে চারজন।
এতে দুই পুলিশ সদস্যসহ আহত হয়েছেন অন্তত ১০ জন। নিহতদের মধ্যে সুমন ও শেখ ফরিদ দুই ভাই। পেশায় সিএনজিচালিত অটোরিকশা চালক।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানিয়েছে, বুধবার রাত ১১টার দিকে মহাসড়কের মিরসরাইয়ের সোনাপাহাড় ফিলিং স্টেশন থেকে বের হওয়ার পর লরিকে চট্টগ্রামগামী জোনাকি পরিবহনের বাস ধাক্কা দেয়। খবর পেয়ে হাইওয়ে পুলিশ এসে সড়কের পাশে দাঁড়িয়ে কথা বলছিলেন। এ সময় চট্টগ্রামগামী একটি কাভার্ডভ্যান চাপা দিলে এ হতাহতের ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: স্কুলছাত্র প্রেমিকের সন্ধানে রাজশাহীর থেকে রাঙ্গামাটিতে দু’সন্তানের জননী
নিহতরা হলেন- মিরসরাইয়ের রায়পুর গ্রামের মো. হারুনের ছেলে মেহেদী হাসান (২২), গড়িয়াইশ গ্রামের শামসুদ্দীনের ছেলে সুমন (২৮) ও শেখ ফরিদ (৩০) এবং পূর্ব রায়পুরের আবুল কাশেম।
আহতদের মধ্যে রয়েছেন জোরারগঞ্জ হাইওয়ে থানা পুলিশের এএসআই মো. মোস্তফা (৪৫), কনস্টেবল আব্দুল আউয়াল (৫০), স্থানীয় বাসিন্দা রফিক (২৫), শেখ আহম্মদ (৪৫)। বাকি কারোর পরিচয় জানা যায়নি। এএসআই মোস্তফার অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে।