১৪ সেপ্টেম্বর ২০২২, ১০:৫১

প্রতিবেশীর আলমারিতে ছিল ছাত্রীর বস্তাবন্দি লাশ

সায়মা জাহান নামে তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রীকে গলাটিপে হত্যার অভিযোগ উঠেছে  © সংগৃহীত

নরসিংদীর শিবপুরে সায়মা জাহান (৮) নামে তৃতীয় শ্রেণির এক ছাত্রীকে গলাটিপে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। হত্যার পর মরদেহটি বস্তায় ভরে আলমারির ভেতরে রাখেন প্রতিবেশী হানিফা। মঙ্গলবার (১৩ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ১০টার দিকে তার বাড়ির আলমারি থেকে মরদেহটি উদ্ধার করে পুলিশ।

এর সাত ঘণ্টা আগে থেকে শিশুটি নিখোঁজ ছিল। এতে অভিযুক্ত নারী সেলিনা ও তার স্বামী হানিফাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সায়মা শিবপুর উপজেলার যোশর গ্রামের সারোয়ার হোসেনের মেয়ে। মরজাল মডেল কিন্ডারগার্টেন স্কুলের তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল সে।

পুলিশ ও নিহতের পরিবার জানায়, স্কুল থেকে ফিরে দুপুরে খাওয়ার পর সায়মা খেলতে বের হয়। রাত হয়ে গেলেও তার কোনো খোঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। খোঁজাখুজিঁর এক পর্যায়ে হানিফার বাড়িতে গিয়ে মেয়ে রাইসার কাছে সায়মার খোঁজ জানতে চায়। তখন রাইসা জানায়, তার মা সায়মাকে মেরে মরদেহ আলমারিতে রেখে দিয়েছে। পরে স্বজনরা স্থানীয়দের সহায়তায় সায়মার মরদেহ উদ্ধার করে।

আরো পড়ুন: ট্রাকের ধাক্কায় আহত বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রী অনন্যা আইসিইউতে

ঘটনার পরে স্থানীয়রা অভিযুক্তদের গণধোলাই দেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে। পরে সেলিনাকে গ্রেফতার করা হয়।

সায়মার বাবা সারোয়ার হোসেন বলেন, মেয়ের গলায় একটি চেইন ও কানের দুল ছিল। সেলিনা সেগুলো ছিনিয়ে নেন। মেয়ে সব বলে দেবে বলার পরে সেলিনা মেয়েকে গলাটিপে হত্যা করেন। এরপর মরদেহ বস্তাবন্ধি করে আলমারির ভেতরে রেখে দেন। পরে রাইসা বিষয়টি আমাদের জানিয়ে দেয়।

শিবপুর থানার ওসি সালাউদ্দিন মিয়া বলেন, কি কারণে হত্যা করা হয়েছে তা পরিষ্কার না। হত্যার পর তারা পালানোর চেষ্টা করেন। পুলিশ গিয়ে হানিফা ও সেলিনার ঘর থেকে মরদেহ উদ্ধার করে। অভিযুক্ত দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।