খেলতে গিয়ে ভাঙল হাত, সারাতে এসে লাশ হলো স্কুলছাত্র
ভেঙে যাওয়া হাতের অস্ত্রোপচারের জন্য সাভারের সেন্ট্রাল হাসপাতালে আনা হয়েছিল কিশোর তাপস মণ্ডলকে। কিন্তু ভুল চিকিৎসায় শনিবার (১০ সেপ্টেম্বর) রাতে মারা যায় সে। স্বজনদের অভিযোগ, হাসপাতালটির কর্মকর্তারা টাকা দিয়ে ম্যানেজ করার চেষ্টা চালায় তাদের।
নিহত তাপস (১৪) গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার কান্দাপাড়ার শশী মণ্ডলের ছেলে। সে স্থানীয় আশরাফ আলী উচ্চ বিদ্যালয়ে অষ্টম শ্রেণির ছাত্র ছিল। স্বজনরা জানান, শুক্রবার ফুটবল খেলতে গিয়ে তাপসের বাঁ হাতের হাড় ভেঙে যায়। এলাকার ওষুধ ব্যবসায়ীর পরামর্শে অস্ত্রোপচারের জন্য পৌর এলাকার সেন্ট্রাল হাসপাতালে নিয়ে আসা হয় তাকে। চুক্তি হয় ৩৫ হাজার টাকার।
তাপসের মামা উত্তম কুমার বলেন,শনিবার রাত ১০টায় হাসপাতালে চিকিৎসক আসার আগেই অচেতন করার ইনজেকশন দেওয়া হয়। রাত ১২টার দিকে সার্জারি বিভাগের চিকিৎসক বলেন, অপারেশন করা যাবে না। তিনি চলে যাওয়ার পর তাপসকে আইসিইউতে নেওয়ার কথা বলে কর্তৃপক্ষ। অবস্থার অবনতি হলে সাভারের সুপার ক্লিনিকে নেওয়া হয়। সেখানেই তাপস মারা যায়।
অভিযুক্ত ডা. কামরুজ্জামান রনি বলেন, তিনি ঠিক সময়েই ইনজেকশন দিয়েছিলেন। তবে সার্জন আসতে দেরি করেছেন। হাসপাতালটির প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. অহিদ বলেন, তিনি হাসপাতালে ছিলেন না। তবে জানতে পেরেছেন, ইনজেকশন পুশ করেন অ্যানেস্থেশিয়া বিভাগের চিকিৎসক কামরুজ্জামান জনি। পরে সে মারা যায়।
আরো পড়ুন: ‘হিজরতের’ পর বাসায় ফিরলে র্যাব পরিচয়ে তুলে নেয় নিলয়কে
তাপসের বাবা শশী মণ্ডল বলেন, আদরের ছেলেটাকে ইনজেকশন দিয়ে মেরে ফেলল ওরা। হাড় ভেঙে গেলে কি কেউ মারা যায়? ভুল চিকিৎসার কারণেই ছেলেটা মারা গেছে। এর বিচার দাবি করেন তিনি। টাকা দিয়ে বিষয়টি মীমাংসার চেষ্টা করেছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা সায়েমুল হুদা বলেন, কোনো লিখিত অভিযোগ পাননি। গণমাধ্যমে বিষয়টি জানতে পেরেছি। ভুক্তভোগী পরিবার অভিযোগ না করলেও তদন্ত কমিটি করে ব্যবস্থা নেবেন।
এ বিষয়ে সাভার মডেল থানার ওসি কাজী মাইনুল ইসলাম বলেন, অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।