বাবা-ভাইকে দেখতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার ছাত্রী
কারাগারে থাকা বাবা ও ভাইকে দেখতে গিয়ে দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছেন নবম শ্রেণির এক ছাত্রী। ওই ছাত্রীকে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।
শুক্রবার (৯ সেপ্টেম্বর) ঠাকুরগাঁওয়ের ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলায় এই ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, বালিয়াডাঙ্গী ইউএনও'র ভ্রাম্যমাণ আদালতের রায়ে জেলে রয়েছেন ভুক্তভোগী ছাত্রীর বাবা ও ভাই। শুক্রবার দুপুরে বালিয়াডাঙ্গী থেকে শহরে আসার সময় একই এলাকার আসলাম, বাবুলসহ ৫-৬ জন ওই ছাত্রীকে গলায় ছুরি ঠেকিয়ে অপহরণ করে নিয়ে যায়। পরে মেয়েটি ধর্ষণে অজ্ঞান হয়ে পড়েন। রাত ১২টায় জেলা সদরের শ্রী কৃষ্টপুর ইক্ষু খামারে মেয়েটিকে ফেলে গেলে স্থানীয় বাসিন্দারা তাকে মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসে।
শনিবার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই ছাত্রী বলেন, ‘জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে প্রতিবেশী চাচা তার বাবা ও ভাইকে জেলে দেয়। বাবা-ভাইকে দেখতে আসার সময় সেই চাচা অটো গাড়িতে তুলে গলায় ছুরি ধরে। পরে মাথায় আঘাত করলে সে অজ্ঞান হয়ে যায়। জ্ঞান ফিরলে সে দেখে একটি ঘরে ৬ জন তাকে ঘিরে ধরে আছে। পরে তার উপর নির্যাতন করা হলে সে আবার অজ্ঞান হয়ে যায়। তারপরে জ্ঞান ফিরলে সে দেখে তার অবস্থান সদর হাসপাতালে।’
ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালের কর্তব্যরত নার্স জানান, মেয়েটিকে নির্যাতনের ফলে তার যৌনাঙ্গ ফেটে গিয়েছে। সেখানে ৪টি সেলাই দেওয়া হয়েছে। মাথায় আঘাত করায় সেখানে ক্ষত হয়েছে ও পেটেও ছুরির আঘাত রয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বালিয়াডাঙ্গী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খায়রুল আনাম বলেন, ‘আমি বিষয়টি শুনেছি। তবে এখন পর্যন্ত কোনো ধরনের অভিযোগ বা এজাহার পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’