শান্তর সেঞ্চুরি আর মুশফিকের ফিফটিতে সিলেটকে হারাল রাজশাহী
৫ ছক্কা ও ৪ চারে ৩৩ বলে অপরাজিত ৬৫ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলেন পারভেজ হোসেন ইমন, তার ওপর ভিত্তি করেই বিপিএলে শক্তিশালী শুরু পায় সিলেট। তবে সেই ইনিংসকে ছাপিয়ে যান রাজশাহী ওয়ারিয়র্সের অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। ৩৬ বলে হাফসেঞ্চুরি পূর্ণ করে শান্ত ৫৮ বলেই সেঞ্চুরি স্পর্শ করেন। এ ছাড়া একই দিনে ৩১ বলে হাফসেঞ্চুরি করেন মুশফিকুর রহিমও। দুজনের ১৩০ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটিতে রাজশাহী সহজেই পার হয়ে যায় সিলেটের ১৯০ রানের লক্ষ্য।
শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেটে ১৯০ রান তুলে সিলেট টাইটান্স। জবাবে ২ বল ও ৮ উইকেট হাতে রেখেই জয়ের বন্দরে নোঙর করে রাজশাহী ওয়ারিয়র্স।
লক্ষ্য তাড়ায় নেমে দলীয় ১৯ রানেই তানজিদ তামিমকে হারিয়ে ধাক্কা খায় রাজশাহী। এরপর সাহিবজাদা ফারহান কিছুটা থিতু হওয়ার চেষ্টা করলেও ১৯ বলে ২০ রান করে সাজঘরে ফেরেন। তবে একপ্রান্তে দৃঢ়ভাবে দাঁড়িয়ে ছিলেন অধিনায়ক শান্ত। ৩৬ বলে নিজের হাফসেঞ্চুরি পূর্ণ করেন তিনি। ফিফটির পর আরও আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েন রাজশাহীর দলপতি।
অপর প্রান্তে তাকে দারুণভাবে সঙ্গ দেন অভিজ্ঞ মুশফিক। এই জুটিতেই শেষ পর্যন্ত সিলেটের রানের পাহাড় টপকে রাজশাহী পায় উড়ন্ত সূচনা। ৮ উইকেট হাতে রেখে এবং ২ বল বাকি থাকতেই জয় নিশ্চিত করে তারা। ৫৮ বলে সেঞ্চুরি পূর্ণ করা শান্ত ৬০ বলে ১০১ রান করে অপরাজিত থাকেন। আর ৩১ বলে ৫১ রান করে জয়সূচক রান তুলে নেন মুশফিকুর রহিম।
এর আগে ব্যাটিংয়ে নেমে সিলেটের শুরুটা ছিল বেশ ঝলমলে, দলের মূল ভিত্তি গড়ে দেন সাইম আইয়ুব। আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ে ১৫ বলে ৩ চার ও ২ ছক্কায় ২৮ রান করে তিনি ফিরলে ক্রিজে আসেন জাজাই। অবশ্য তিনিও বেশিক্ষণ থিতু হতে পারেননি, ১৮ বলে দুটি চার ও একটি ছক্কায় ২০ রান করে সাজঘরে ফেরেন।
এরপর এক প্রান্ত আগলে রেখে দেখেশুনে খেলতে থাকেন অভিজ্ঞ ওপেনার রনি তালুকদার। অন্য প্রান্তে তাকে সঙ্গ দেন পারভেজ হোসেন ইমন, দুজন মিলে ইনিংসের ছন্দ ধরে রাখেন।
পরে রনি তালুকদার ৩৪ বলে ৪১ রান করে আউট হলেও দায়িত্বশীল ব্যাটিং চালিয়ে অর্ধশতক পূর্ণ করেন ইমন। ২৮ বলে তিনটি চার ও চারটি ছক্কায় ৫০ রানের মাইলফলক স্পর্শ করেন এই ব্যাটার।
অপর প্রান্তে আফিফ হোসেন ধ্রুবও ব্যাটে উজ্জ্বল ছিলেন। এই যুগল জুটিই সিলেটকে লড়াই করার যোগ্য সংগ্রহ এনে দেয়। নির্ধারিত ২০ ওভারের শেষে সিলেটের স্কোর দাঁড়ায় ১৯০, ৬৫ রান করেন অপরাজিত থাকেন ইমন।