অবসর, রাজনীতি, লাইফস্টাইল নিয়ে মুখ খুললেন সাকিব আল হাসান
বাংলাদেশ ক্রিকেটের পোস্টারবয় সাকিব আল হাসান। লম্বা সময় ধরে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের বাইরে রয়েছেন তিনি। ৫ আগস্ট সরকার পরিবর্তনের পর থেকে আর দেশে ফেরা হয়নি এই অলরাউন্ডারের। ২০২৪ সালের ভারতে বিপক্ষে কানপুর টেস্টের পর আর দেশের জার্সি পড়া হয়নি তার। বাংলাদেশ ক্রিকেটের সব থেকে আলোচিত, সমালোচিত এই ক্রিকেটার সাম্প্রতি নিজের অবসর, রাজনীতি, লাইফস্টাইল নিয়ে খোলামেলা আলোচনা করেছেন ‘বিয়ার্ড বিফোর উইকেট’ পডকাস্টে।
দেশের জার্সিতে টেস্ট, ওয়ানডে ও টি–টোয়েন্টি মিলিয়ে ৪৪৭ ম্যাচ খেলা সাকিব নিজের অবসর নিয়ে বলেন,‘আনুষ্ঠানিকভাবে আমি এখনো সব সংস্করণ থেকে অবসর নেইনি। প্রথমবার এটা প্রকাশ করলাম। আমার পরিকল্পনা হলো বাংলাদেশে ফিরে গিয়ে ওয়ানডে, টেস্ট ও টি-টোয়েন্টির যেকোনো একটি পূর্ণাঙ্গ সিরিজ খেলে অবসরে যাওয়া।’
দেশে ফিরে যেকোনো একটি সংস্করণে খেলতে পারলেই খুশি হবেন সাকিব, ‘একটি সিরিজ খেলে সব সংস্করণ থেকে অবসর নিতে পারি। এটি টি-টোয়েন্টি দিয়ে শুরু করে ওয়ানডে ও টেস্ট, অথবা টেস্ট, ওয়ানডে, টি-টোয়েন্টি-যেকোনো কিছুই হতে পারে। এর যেভাবেই হোক, আমি খুশি। কিন্তু আমি একটি পূর্ণাঙ্গ সিরিজ খেলে অবসর নিতে চাই। এটাই আমার চাওয়া। আমি দেশে ফেরার ব্যাপারে আশাবাদী। এজন্যই আমি বিভিন্ন ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে খেলছি।’
সমর্থনের জন্য ভক্তদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন সাকিব, ‘একজন খেলোয়াড় যখন কিছু বলে সেটাতে অটল থাকার চেষ্টা করে। খেলোয়াড়রা হঠাৎ করে কিছু পরিবর্তন করে না। না। আমি কেমন খেলি সেটা বিবেচ্য নয়। আমি একটা খারাপ সিরিজও খেলতে পারি। আমার মনে হয় এটাই যথেষ্ট। এটা ভক্তদের বিদায় জানানোর একটা ভালো উপায় যে, তারা সবসময় আমাকে সমর্থন করেছে, ঘরের মাঠে সিরিজ খেলে তাদের কিছু ফিরিয়ে দিতে চাই।’
দেশে ফেরার ব্যাপারে তিনি বলেন, 'আমি অবশ্যই চাই বাংলাদেশে ফিরতে। কারণ, আমি বাংলাদেশ থেকে এসেছি। আমি বাংলাদেশে ফিরে যাব।'
নিজের লাইফস্টাইল নিয়ে সাকিব বলেন, 'তুমি যে ‘স্বাভাবিক জীবন’-এর কথা বলছ, সত্যি বলতে আমি কখনোই সে জীবন চাইনি। আমি বাংলাদেশে যে জীবনটা কাটাচ্ছিলাম, সেটা আমার ভালোই লাগত। এমন না যে আমি সেই জীবনটা অপছন্দ করতাম। আমি তো আমার মতো করেই স্বাভাবিক জীবনে ছিলাম।'
সাকিব আরও বলেন, 'আমার কখনো বেশি বন্ধু ছিল না। ছোটবেলা থেকেই বাইরে বেশি যেতাম না। আমি বোর্ডিং স্কুলে পড়েছি, আর বড় হতে হতে ভালো দিকনির্দেশনা পেয়েছি। এগুলো আমাকে অনেক সাহায্য করেছে।’
নিজের রাজনীতিক ক্যারিয়ার নিয়ে সাকিব বলেন, 'আমার মনে হয়, ক্রিকেট ক্যারিয়ার প্রায় শেষ করেছি। হয়তো এখন রাজনীতির অংশ বাকি আছে। এটা এমন কিছু যা আমি বাংলাদেশের মানুষ এবং মাগুরাবাসীর জন্য করতে চাই। এটা ছিল আমার ইচ্ছা, যা এখনো আমার ইচ্ছা। দেখা যাক, আল্লাহ আমাকে কোথায় নিয়ে যান।'