রাজশাহী ওয়ারিয়র্সে দক্ষিণ আফ্রিকার তারকা ক্রিকেটার
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) আসন্ন আসরে নতুন দল হিসেবে যাত্রা শুরু করেছে রাজশাহী ওয়ারিয়র্স। নিলামের আগেই বর্তমান টেস্ট অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত এবং ওপেনার তানজিদ হাসান তামিমকে দলে ভিড়িয়ে বড় চমক দেয় তারা। পরে নিলাম থেকে তানজিম হাসান সাকিবকে দলে যোগ করা হয়।
তরুণদের মধ্যে আকবর আলী, রিপন মন্ডল, জিসান আলম ও হাসান মুরাদকে নিয়ে শক্তিশালী স্কোয়াড গঠনের ইঙ্গিতও মিলেছে। বিদেশি ক্রিকেটার হিসেবে ইতোমধ্যেই শাহিবজাদা ফারহান ও মোহাম্মদ নাওয়াজকে টেনেছে তারা। পাশাপাশি নিলাম থেকে দুশান হেমন্থ ও জাহানদাদ খান যুক্ত হয়।
তবে টুর্নামেন্টের মাঝপথে জাতীয় দলের দায়িত্বে ব্যস্ত থাকবেন পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কার খেলোয়াড়েরা। জানুয়ারিতে দল দুটির মধ্যে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ থাকায় ওই সময় ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোকে তাদের ছেড়ে দিতে হবে। এ কারণে বিকল্প পরিকল্পনায় নামতে হচ্ছে রাজশাহীকে। এই পরিস্থিতিতে দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে ক্রিকেটার আনার প্রস্তুতি নিচ্ছে দলটি, গণমাধ্যমে এমনটাই নিশ্চিত করেছেন রাজশাহী ওয়ারিয়র্সের কর্ণধার মুখছেদুল কামাল বাবু।
তার ভাষ্যমতে, 'আমাদের সাউথ আফ্রিকাসহ আরো বেশ কিছু জায়গা থেকে আমাদের প্লেয়ারের প্ল্যানিং আছে। আমরা সেই নামগুলো এখনই ডিক্লিয়ার করছি না। হয়তো খুব সহসাই আপনারা সেটা জানতে পারবেন। আর এটা খুবই একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় যে হঠাৎ করে শ্রীলঙ্কার সাথে পাকিস্তানের যে ম্যাচটা হয়েছে, পড়েছে। তো সেইখানে যেহেতু আমাদের পাকিস্তানের বেশ কিছু প্লেয়ার আছে। তারা হয়তো সে ম্যাচগুলো খেলতে পারবে না ওই সময়টায়। সেই প্ল্যান থেকে আমরা আরো কিছু বিদেশি প্লেয়ারকে আমাদের টিমে যুক্ত করব।'
কামাল বাবু আরও বলেন, 'নিশ্চয়ই এবার দেখেছেন যে যেকোনো সময়ের তুলনায় রাজশাহী টিম একটু এবারে অন্যরকম। কারণ আমরা কোনোভাবেই আমরা চেয়েছি যে একটা প্রফেশনাল ক্রিকেট এবং সেটাকে মাথায় রেখেই আমরা আমাদের টিম সাজিয়েছি এবং অবশ্যই আমরা আমাদের ট্রফি আমাদের ঘরে আসুক আমরা সেটা চাই। সেটার জন্য আমাদের সর্বোচ্চ চেষ্টা থাকবে।'
রাজশাহী ওয়ারিয়র্স
সরাসরি চুক্তি: নাজমুল হোসেন শান্ত, তানজিদ হাসান তামিম, শাহিবজাদা ফারহান, মোহাম্মদ নাওয়াজ
নিলাম থেকে নেওয়া স্থানীয় ও বিদেশি ক্রিকেটার: তানজিম হাসান সাকিব (৬৮ লাখ), ইয়াসির আলি (৪৪ লাখ), আকবর আলী (৩৪ লাখ), রিপন মণ্ডল (২৫ লাখ), জিসান আলম (১৮ লাখ), হাসান মুরাদ (১৮ লাখ), আব্দুল গাফফার (৪৪ লাখ), মেহেরব হাসান (৩৯ লাখ), ওয়াসী সিদ্দিকী (১৯ লাখ), মোহাম্মদ রুবেল (১১ লাখ), মুশফিকুর রহিম (৩৫ লাখ), দুশান হেমান্থ (২৫ হাজার ডলার), জাহান্দাদ খান (২০ হাজার ডলার)।