বিপিএলের নিলাম: তাঁদের সম্মানে বদলে গেল নিয়মও
জমকালো আয়োজনের মাধ্যমে প্রায় এক যুগ পর বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের ( বিপিএল) নিলাম অনুষ্ঠিত হয়। রবিবার (৩০ নভেম্বর) সন্ধ্যায় রাজধানীর হোটেল রেডিসন ব্লুতে নিলামটি অনুষ্ঠিত হয়।
নিলামের প্রথম দিকেই দেখা দেয় নাটকীয়তা। বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের দুই লিজেন্ডারি ক্রিকেটার মুশফিক ও মাহমুদুল্লাহ অবিক্রিত থেকে যান। ক্যাটাগরি 'বি'-তে ৩৫ লাখ টাকার ভিত্তি মূল্যে প্রথম রাউন্ডের ডাকে অবিক্রিত এই দুই লিজেন্ডারি শেষ পর্যন্ত অবিক্রিত থাকেননি। দ্বিতীয় রাউন্ডের ডাকে বিক্রি হয়েছেন মুশফিক-মাহমুদউল্লাহ। তবে তাকে কিনতে নিলামের আইন বদলে ফেলতে হয়েছে।
বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের প্লেয়ার্স অকশন আইন অনুযায়ী, অবিক্রিত ক্রিকেটারকে পরবর্তী রাউন্ডে পুনরায় বিক্রির জন্য উঠলে তার ক্যাটাগরি অবনমন হবে, পরের ক্যাটাগরির ভিত্তিমূল্যে ডাক উঠবে। এই আইন অনুযায়ী ক্যাটাগরি 'বি'-তে ৩৫ লাখ ভিত্তিমূল্য থেকে অবনমিত হয়ে ক্যাটাগরি 'সি' তে ২২ লাখ টাকার ভিত্তিমূল্যে দ্বিতীয় রাউন্ডে তাদের নিলামে তোলার কথা।
তবে নিলাম ঘরে রংপুর রাইডার্সের কর্ণধার ইশতিয়াক সাদেকের প্রস্তবনায় বদলে গেছে আইন। সকল ফ্রাঞ্চাইজির উদ্দেশ্যে ইশতিয়াক সাদেক আহ্বান করেন বলেন, 'মুশফিকুর রহিম, মাহমুদউল্লাহ দীর্ঘদিন ধরে সুনামের সাথে জাতীয় দলকে সার্ভিস দিয়েছেন। ওনাদের দুজনের সম্মানের কথা ভেবে ভিত্তিমূল্য অপরিবর্তিত রেখে দ্বিতীয় রাউন্ডে ওনাদেরকে নিলামে তোলার প্রস্তাব করছি। আশা করছি আপনারা সবাই এই প্রস্তাবে সম্মতি দিবেন।'
ইশতিয়াক সাদেকের এমন প্রস্তাবে সঙ্গে সঙ্গে সম্মতি জানান সবাই। 'বি' ক্যাটাগরির ভিত্তিমূল্য ৩৫ লাখ টাকায় মাহমুদউল্লাহকে কিনেছে ইশতিয়াক সাদেকের দল রংপুর রাইডার্স। একই ভিত্তিমূল্যে রাজশাহী ওয়ারিয়র্স কিনেছে মুশফিকুর রহিমকে।
রংপুর রাইডার্সের কর্ণধার ইশিতিয়াক সাদেক বলেন, 'কেনো ওনারা প্রাপ্য আয় থেকে বঞ্চিত হবেন? কেনো ১০-১২ লাখ টাকা ( হবে ১৩ লাখ টাকা) কম পাবেন? ওনাদের যেনো আমরা সম্মান দেখাতে পারি, এজন্যই এই প্রস্তাব রেখেছিলাম।
সুযোগ পেয়েও ১৩ লাখ টাকা কমে মাহমুদউল্লাহকে নিতে চাননি রংপুর রাইডার্সের ইশতিয়াক সাদেক। মুশফিকুর রহিমকেও কম টাকায় অন্য ফ্রাঞ্চাইজিকে নিতে দেননি তিনি।