দেশবাসীর নিরাপত্তা কামনা সাকিবের
দেশের ক্রীড়াঙ্গনের ইতিহাসে অন্যতম উজ্জ্বল নাম সাকিব আল হাসান। প্রায় দুই দশক ধরে ব্যাটে-বলে নিজের সেরাটা দিয়ে দেশের ক্রিকেটকে এগিয়ে নেন এই তারকা অলরাউন্ডার। একসময় বিশ্বের সেরা অলরাউন্ডারের আসনেও বসেছিলেন। তবে ক্যারিয়ারের গোধূলিলগ্নে এসে জাতীয় দলের বাইরে তিনি।
মূলত ২০২৪ সালে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের পর শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকেই তার আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার অনিশ্চয়তায় পড়ে যায়। দেশে ফিরে দলের হয়ে খেলতে চাইলেও সমর্থকদের একাংশের বিরোধিতা ও নানা রাজনৈতিক জটিলতায়, তা সম্ভব হয়নি। তার বিরুদ্ধে কয়েকটি মামলাও দায়ের করা হয়। সবমিলিয়ে এখন লাল-সবুজের অঙ্গনে ব্রাত্য সাকিব।
তবে দীর্ঘ প্রায় দেড় বছর ধরে দেশের বাইরে থাকলেও এখনও মাতৃভূমির খোঁজখবর নিয়মিতই রাখেন তিনি। মাঠ কিংবা মাঠের বাইরের কোনো কিছুই হয়তো তার চোখ এড়ায় না। এই তো দিন দুয়েক আগেই মুশফিকুর রহিমের শততম টেস্ট ঘিরের একরাশ স্মৃতি সামনে নিয়ে আসেন। এমনকি মুশফিকের শততম টেস্টে তিনিও খেলতে চেয়েছিলেন। দেশের প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে টেস্টে শততম ম্যাচের মাইলফলক স্পর্শ করায় মুশফিককে শুভেচ্ছা জানিয়ে আবেগঘন বার্তা দিয়েছিলেন দেশের ক্রিকেটের এই পোস্টারবয়।
অবশ্য, ঘটনা এখানেই শেষ না। দেশের টেস্ট ইতিহাসে নতুন অধ্যায় লিখেন তাইজুল ইসলাম। সাকিবকে পেছনে ফেলে তাইজুল এখন দেশের সর্বোচ্চ টেস্ট উইকেটশিকারি। এই মাইলফলক ছুঁতেই সতীর্থদের কাছ থেকে অভিনন্দনের ঢলে ভাসেন এই স্পিনার; সাকিব নিজেও শুভেচ্ছা জানান তাকে। তাইজুলের কাছে রেকর্ড হারিয়ে তাকে ঘিরেই বড় প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন সাবেক বিশ্বসেরা এই অলরাউন্ডার। সাকিবের চাওয়া, কোনো একসময়ে ৪০০ উইকেটের মাইলফলক স্পর্শ করবেন তাইজুল।
মাঝে মিরপুরে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট চলাকালেই চারবার ভূমিকম্পে কেঁপে উঠে সাকিবের প্রিয় মাতৃভূমি। সে সময়ে চারদিক জুড়ে কেবলই আতঙ্ক। গ্রাম-শহরজুড়ে কেবলই উদ্বেগ। এমন পরিস্থিতিতে দেশবাসীর নিরাপত্তা কামনায় দোয়া চাইলেন সাকিবও।
সোমবার (২৪ নভেম্বর) রাত ৮টার দিকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক পোস্টে প্রার্থনা করেন তিনি। সাকিবের পোস্ট করা ছবিতে দেখা যায়, পবিত্র ক্বাবা শরিফের সামনে দাঁড়ানো অবস্থায় তিনি। ক্যাপশনে সাকিব লিখেছেন, “May Allah keep Bangladesh and people of Bangladesh safe.”