২৩ নভেম্বর বিপিএল নিলাম, থাকছে যেসব শর্ত
প্রায় এক যুগ ও ৯টি আসরের পর আবার নিলাম পদ্ধতিতে ফিরছে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল)। আগামী ২৩ নভেম্বর দ্বাদশ আসরের খেলোয়াড় নিলামের তারিখ ঘোষণা করেছে গভর্নিং কাউন্সিল।
শেষবার ২০১৩ সালের দ্বিতীয় আসরে নিলাম পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়েছিল। এর পরের আসরগুলোতে প্লেয়ার্স ড্রাফট পদ্ধতি প্রয়োগ করা হয়েছিল। এবার পাঁচ দলের বিপিএলে আবার নিলাম হবে।
দেশি ও বিদেশি ক্রিকেটারদের আলাদা ক্যাটাগরিতে ভাগ করে নিলামের সিদ্ধান্ত নিয়েছে গভর্নিং কাউন্সিল। এবার স্থানীয় ক্রিকেটারদের জন্য ৬টি ক্যাটাগরি নির্ধারণ করা হয়েছে। যেখানে ‘এ’ ক্যাটাগরিতে ভিত্তিমূল্য ৫০ লাখ টাকা। এ ছাড়া ‘বি’ ৩৫ লাখ, ‘সি’ ২২ লাখ, ‘ডি’ ১৮ লাখ, ‘ই’ ১৪ লাখ ও ‘এফ’ ক্যাটাগরির ভিত্তিমূল্য ১১ লাখ টাকা।
প্রতিটি দলকে নিলামে অন্তত ১১ জন ক্রিকেটার কিনতে হবে। এ ছাড়া সরাসরি চুক্তিতে ২ জন খেলোয়াড় দলে নেওয়া যাবে। অর্থাৎ স্কোয়াডে সর্বনিম্ন ১৩ এবং সর্বোচ্চ ১৫ জন দেশি ক্রিকেটার থাকতে পারবে। দেশের খেলোয়াড়দের জন্য খরচের সীমা নির্ধারণ সর্বোচ্চ ৪ দশমিক ৫ কোটি টাকা করা হয়েছে, তবে সরাসরি চুক্তি করা খেলোয়াড়দের জন্য এই সীমা প্রযোজ্য হবে না।
ক্যাটাগরি অনুযায়ী ন্যূনতম খেলোয়াড় নিয়োগের শর্তও নির্ধারণ করা হয়েছে। যেখানে ‘এ’ ক্যাটাগরি থেকে অন্তত ১ জন, ‘বি’ থেকে ২ জন, ‘সি’ থেকে ৩ জন, ‘ডি’ থেকে ৩ জন ও ‘ই’ থেকে ন্যুনতম ২ জন ক্রিকেটার দলে নিতে হবে।
অন্যদিকে বিদেশি খেলোয়াড়দের জন্য পাঁচটি ক্যাটাগরি নির্ধারিত হয়েছে। ‘এ’ ক্যাটাগরির ভিত্তিমূল্য ৩৫ হাজার ডলার। এ ছাড়া ‘বি’ ৩০ হাজার, ‘সি’ ২৫ হাজার, ‘ডি’ ২০ হাজার ও ‘ই’ ক্যাটাগরির ভিত্তিমূল্য ১৫ হাজার ডলার।
প্রতিটি দল নিলামে অন্তত ২ জন বিদেশি ক্রিকেটার নিতে বাধ্য। নিলামের আগে সর্বোচ্চ ২ জন বিদেশি খেলোয়াড় সরাসরি চুক্তি করা যাবে। বিদেশি খেলোয়াড়দের জন্য খরচের সর্বোচ্চ সীমা ৩ দশমিক ৫ লাখ ডলার। প্রতি ম্যাচে ন্যূনতম ২ জন ও সর্বাধিক ৪ জন বিদেশি খেলোয়াড় মাঠে নামতে পারবে।