১১ নভেম্বর ২০২৫, ১৭:২০

শেষ বিকেলে স্পিনারদের দাপটে স্বস্তি বাংলাদেশের

বাংলাদেশ দল  © সংগৃহীত

সিলেট টেস্টের প্রথম দিনে তিন সেশন মিলিয়ে বাংলাদেশই এগিয়ে থাকল। দিনের প্রথম দুই সেশনে ভিন্ন ভিন্ন গল্প রচিত হলেও তৃতীয় ও শেষ সেশনটা নিজেদের মত করেই রাঙায় স্বাগতিকরা। পল স্টার্লিং এবং অভিষিক্ত কেড কারমাইকেলের হাফ-সেঞ্চুরিতে প্রথম ইনিংসে ৮ উইকেট হারিয়ে ২৭০ রানে প্রথম দিন শেষ করেছে আয়ারল্যান্ড। অবশ্য, বেশকিছু সুযোগ মিস না করলে আজই আইরিশদের প্রথম ইনিংসে ইতি টানতে পারতো লাল-সবুজেরা। 

ইনিংসের প্রথম ওভারেই অ্যান্ডি বালবির্নির উইকেট নেন হাসান মাহমুদ। তার ফুলার লেংথে এলবিডব্লিউ'র ফাঁদে পরে রানের খাতা খোলার আগেই ফেরেন আইরিশ অধিনায়ক।

পরে অবশ্য প্রথম সেশনেই সহজ তিনটি ক্যাচ হাতছাড়া করে বাংলাদেশ। সেই ভুলের সুযোগ নিয়েই দ্বিতীয় উইকেটে ৯৮ রান যোগ করেন পল স্টার্লিং ও ক‍্যাড কারমাইকেল।

লাঞ্চের পর অবশ্য প্রথম দুই ওভারেই দুটি গুরুত্বপূর্ণ উইকেট তুলে নেয় স্বাগতিকরা। নাহিদ রানার নিখুঁত ডেলিভারিতে টাইমিংয়ের ভুল করেন পল স্টার্লিং। ব্যাটের কানায় লেগে বল স্লিপে চলে গেলে তা তালুবন্দি করেন সাদমান। ৬০ রানে থামে স্টার্লিংয়ের ইনিংস, সঙ্গে ভাঙে ৯৬ রানের জুটিও।

পরের ওভারেই আক্রমণে আসেন মেহেদী মিরাজ। তার ঘূর্ণির শিকার হন নতুন ব্যাটার হ্যারি টেক্টর। আম্পায়ার প্রথমে আউট না দিলেও রিভিউ নেওয়ার পর সিদ্ধান্ত বদলে যায় বাংলাদেশের পক্ষে।

অভিষেক টেস্টে দারুণ ব্যাট করছিলেন কেড কারমাইকেল। তবে শেষ পর্যন্ত মিরাজের স্পিনে থামতে হয় তাকে। মিরাজের বলে এগিয়ে খেলতে গিয়ে শান্তর হাতে ধরা পড়েন তিনি। মাঠের আম্পায়ার প্রথমে আউটের সিদ্ধান্ত দেননি, কিন্তু রিভিউতে শেষ পর্যন্ত সিদ্ধান্ত বদলে যায়। ১২৯ বল মোকাবিলা করে ৭ চার মেরে ৫৯ রানে ফেরেন কারমাইকেল।

এই ধাক্কা অবশ্য কাটিয়ে উঠেছিল আইরিশরা। তবে দিনের শেষ ঘণ্টায় বাধা হয়ে দাঁড়ান হাসান মুরাদ। তার টসড-আপ ডেলিভারিতে প্রথম স্লিপে শান্তর হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন কার্টিস ক্যাম্ফার। ৯৪ বলে ৪ চার ও ২ ছক্কায় ৪৪ রানে ফেরেন তিনি। 

এই স্পিনারের পরের শিকার লরকান টাকার। তার ফুলার লেংথ ডেলিভারিতে ডাউন দ্য উইকেটে খেলতে চেয়েছিলেন টাকার। এই ব্যাটার লাইন মিস করলেও সুযোগ হাতছাড়া করেননি লিটন। মুহূর্তেই স্ট্যাম্প ভেঙে দিয়ে ৮০ বলে ৪১ রান করা টাকারকে প্যাভিলিয়নের পথ দেখান।

দিনের বাকি দুটি উইকেট নিজেদের ঝুলিতে পুরেন মিরাজ ও তাইজুল। ৩৫ বলে ৫ রান করা অ্যান্ডি ম্যাকব্রাইনকে মিরাজ এবং দিনের শেষ বলে ৬০ বলে ৩০ রান করা জর্দানকে এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলেন তাইজুল। দিন শেষে ৫৬ বলে ২১ রানে অপরাজিত ম্যাকার্থী। 

বাংলাদেশের হয়ে ৫০ রান খরচায় তিনটি উইকেট নেন মিরাজ। এছাড়া হাসান মুরাদ দুটি এবং হাসান, নাহিদ ও তাইজুল একটি করে উইকেট নেন।