র্যাঙ্কিংয়ে উন্নতির সুযোগ হাতছাড়া বাংলাদেশের, শেষ ম্যাচে কার সামনে কোন সমীকরণ?
২০২৭ বিশ্বকাপে সরাসরি খেলতে বাংলাদেশকে র্যাঙ্কিংয়ে ন্যূনতম নবমস্থানে থাকতে হবে। এজন্য যথেষ্ট সময় ও ম্যাচ হাতে আছে টাইগারদের। যদিও ঘরের মাঠে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজেই আইসিসি র্যাঙ্কিংয়ে নয়ে উঠার সুযোগ ছিল মেহেদী হাসান মিরাজদের সামনে। তবে এরই মধ্যে সিরিজটি ১-১ সমতায় থাকায় র্যাঙ্কিংয়ে এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ বঞ্চিত হতে হচ্ছে টাইগারদের। রেটিং পয়েন্টে ক্যারিবিয়ানদের ছাড়িয়ে যেতে ৩-০ ব্যবধানে জিততে হতো বাংলাদেশকে।
ওয়ানডে ফরম্যাটে সাম্প্রতিক সময়টা মোটেই ভালো যাচ্ছে না বাংলাদেশের। ক্যারিবিয়ান সিরিজের আগে ১২ ম্যাচের মধ্যে স্রেফ একটিতে জিতেছিল লাল-সবুজেরা। এতে নিজেদের শক্তি বিবেচনায় মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামকেই মঞ্চ হিসেবে বেছে নেওয়া হয়। যেখানে কালো মাটির উইকেটে রীতিমতো রাজ করেন টাইগার স্পিনাররা। রিশাদ হোসেনের ঘূর্ণিতে সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে ৭৪ রানের বড় জয় পায় বাংলাদেশ।
দ্বিতীয় ওয়ানডেতে জিতলে এক ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ নিশ্চিত করতো বাংলাদেশ। কিন্তু নিশ্চিত জয়ের দ্বারপ্রান্তে থাকা স্বাগতিকরা উল্টো এক রানে হেরেছে ম্যাচটি।
মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) মিরপুরে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ২১৩ রানের সংগ্রহ পায় বাংলাদেশ। জবাবে শেষ ওভারে সাইফের চমকপ্রদ বোলিংয়ের পরও অধিনায়ক হোপের হার না মানা ৫৩ রানের সুবাদে সমান স্কোর লেভেল করে সফরকারীরা। এতে সুপার ওভারে গড়ায় ম্যাচটি।
সুপার ওভারের দ্বিতীয় বলেই রাদারফোর্ডকে আউট করে স্বস্তি এনে দেন মোস্তাফিজ। সবমিলিয়ে প্রথম পাঁচ বল পর্যন্ত ছিলেন কাঁটায় কাঁটায় নিখুঁত, মোটে ৬ রান দিয়েছিলেন। কিন্তু শেষ বলেই খেল ঘুরিয়ে দেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের ব্যাটার। ঠাণ্ডা মাথায় মারা এক চতুষ্কোণে চার হজম করতে হয় দ্য ফিজকে। শেষ পর্যন্ত সুপার ওভারে বাংলাদেশের লক্ষ্য দাঁড়ায় ১১।
নিজেদের ইতিহাসে প্রথম সুপার ওভার তাড়ায় এসেছিলেন সাইফ ও সৌম্য। যেখানে কোনো বল হওয়ার আগেই ওয়াইড-নো'র সুবাদে ৪ রান পায় বাংলাদেশ। এরপর প্রথম বলে এক রান নেন সৌম্য। দ্বিতীয় বল ডট হলেও তৃতীয় বলে সিঙ্গেল নেন সাইফ। তবে চতুর্থ বলে সফরকারীদের দুর্দান্ত ফিল্ডিং পরিকল্পনার ফাঁদে পড়ে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন সৌম্য। পঞ্চম বলে লেগ-বাই থেকে এক রান আসলে শেষ বলে সমীকরণ দাঁড়ায় ৪ রান। সেখানে ফের ওয়াইড, সমীকরণ ৩ রান! কিন্তু শেষ বলে এক রানের বেশি নিতে পারেনি বাংলাদেশ। এতে সুপার ওভারে এক রানে ম্যাচ হেরে যায় স্বাগতিকরা।
সিরিজ শুরুর আগে ওয়ানডে র্যাঙ্কিংয়ের দশমস্থানে থাকা বাংলাদেশের রেটিং পয়েন্ট ৭৪ ছিল। নয়ে থাকা ওয়েস্ট ইন্ডিজের পয়েন্ট ৮০। ফলে, ৩-০ ব্যবধানে জিতলেই তাদের টপকানোর সুযোগ ছিল বাংলাদেশের। সেক্ষেত্রে শান্ত-মিরাজদের পয়েন্ট ৭৮ এবং ক্যারিবিয়ানদের পয়েন্ট কমে ৭৬-এ দাঁড়াত। এতে ক্যারিবিয়ানদের দশে নামিয়ে ৯-এ উঠতো বাংলাদেশ। কিন্তু হেলায় সেই সুযোগ হারায় টাইগাররা।
অবশ্য, এখনও ২-১ ব্যবধানে সিরিজ জয়ের সুযোগ বাংলাদেশের সামনে। শেষমেশ এমনটা হলে ক্যারিবিয়ানদের ৭৯ এবং বাংলাদেশের ৭৬ পয়েন্ট দাঁড়াবে। অন্যদিকে কোনো কারণে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ম্যাচটি পরিত্যক্ত হলে দুই দলের রেটিং পয়েন্টও অপরিবর্তিত থাকবে। এছাড়া ক্যারিবীয়রা ২-১ ব্যবধানে জিতলে তাদের রেটিং বেড়ে ৮১ এবং বাংলাদেশের রেটিং পয়েন্ট ৭৩ হবে।