২০ অক্টোবর ২০২৫, ১৭:৪৭

‘ক্যাচিং ব্যাট’ দিয়ে যে কারণে ব্যাটিং অনুশীলন টাইগারদের

টাইগারদের অনুশীলন   © সংগৃহীত

‘হোম অব ক্রিকেটে’ আজ দেখা মিলল ক্রিকেটারদের হাতে ছোট ছোট ব্যাট। কখনও ফিল সিমন্স হাতে নিয়ে দেখাচ্ছেন, কখনও মোহাম্মদ সালাউদ্দিন ব্যাখ্যা করছেন, কীভাবে ব্যবহার করতে হবে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে দ্বিতীয় ওয়ানডে সামনে রেখে এমন ব্যতিক্রমী অনুশীলনে নেমেছে বাংলাদেশ দল। তবে কেন এই বিশেষ ব্যাট?

আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে মিরপুরের উইকেট। এই পিচে বল নিচু হয়ে আসে, বিশেষ করে স্পিনারদের ক্ষেত্রে। তাই ব্যাটারদের আরও নিচু হয়ে বল মোকাবিলা করতে হয়, যাকে ‘গ্রেভিটি লেভেল’ কমানো বলা হয়। এই কৌশলটাই আয়ত্ত করতে খেলোয়াড়রা ছোট ব্যাট ব্যবহার করছেন, যা ব্যাটিংয়ের সময় স্বাভাবিকের চেয়ে নিচু হওয়ার অভ্যাস গড়ে তোলে।

এই বিশেষায়িত ব্যাটের কিছু বিদেশি কোম্পানি থেকে এসেছে। আবার দেশের আইসিসি স্বীকৃত ব্যাট প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান এমকেএস থেকেও কাস্টম ব্যাট বানানো হয়েছে। ছোট ব্যাট দিয়ে ব্যাটিং তুলনামূলক কঠিন, আর সেই কঠিন কাজটাই মনোযোগ দিয়ে সৌম্য সরকার, মেহেদী হাসান মিরাজ ও জাকির হাসান অনুশীলন করেছেন।

এ প্রসঙ্গে সংবাদ সম্মেলনে স্পিন বোলিং কোচ মুশতাক আহমেদ জানালেন, ‘ছোট ব্যাটের অর্থ হলো, স্পিনারদের গ্রেভিটি লেভেল অনুযায়ী বল হিট করা। টার্নিং পিচে ফুট ওয়ার্কে আলসেমি থাকলে স্পিনাররা আপনাকে আউট করে ফেলবে। ফ্রন্ট ফুটে খেলুন আর ব্যাক ফুটে আপনার গ্রেভিটি লেভেল হতে হবে লো।’

মুশতাক এ-ও ব্যাখ্যা করলেন, ‘তাই বল খেলতে হবে খুব কাছ থেকে, একটু দেরিতে। এ কারণেই ছোট ব্যাট দিয়ে প্র্যাকটিস করা। আপনার ভালো বলে সিঙ্গেল আসা শুরু হলে আমি আপনাকে বাজে বল দিব কারণ ভালো বলেই তো সিঙ্গেল বের করে নিচ্ছেন। এসব কারণে ব্যাপারটা গুরুত্বপূর্ণ।’

দ্বিতীয় ম্যাচের আগে অনুশীলনে ম্যাচের মতোই ফিল্ড সেট-আপ সাজিয়ে নেন সিমন্সরা। এর ব্যাখ্যায় মুশতাক বললেন, ‘নেট প্র্যাকটিসকে আমরা ম্যাচের পরিবেশের কাছাকাছি নিয়ে আসতে চাই। ব্যাটারদের জন্য মাসল মেমোরি থাকা জরুরি। যাতে ম্যাচে কখন কীভাবে খেলবে, এসব নিয়ে ভালো ধারণা তৈরি হয়। সিমন্স ওই অনুযায়ী প্র্যাকটিস করাচ্ছে। কখন সিঙ্গেল নিতে হবে, কখন ডাবল। সে অনুযায়ী ফিল্ড পজিশন সাজাচ্ছে। এ কারণেই প্র্যাকটিস সেশন ম্যাচের মতো ছিল।’

তিনি যোগ করেন, ‘এমন উইকেটে ফিল্ড পজিশনে খুব স্মার্ট হতে হবে। ব্যাটার ফ্রন্টফুট নাকি ব্যাকফুট এসবের ওপর অনেক কিছু নির্ভর করে। আপনি কোন গতিতে বল করছেন, ৭৫ নাকি ৯০+, কোচ সবার ব্যাপারে তথ্য দিচ্ছে আর খেলোয়াড়রা তা কাজে লাগানোর চেষ্টা করছে।’