আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রথম ‘ফাইফার’ রিশাদের, এলোমেলো ওয়েস্ট ইন্ডিজ
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নিজের প্রথম ‘ফাইফার’ (৫ উইকেট) পেলেন টাইগার লেগস্পিনার রিশাদ হোসেন। তার ঘূর্ণিজাদুতে এলোমেলো হয়ে পড়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ব্যাটিং লাইনআপ। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত রিশাদ ৭ ওভারে মাত্র ২৫ রান খরচায় ৫ উইকেট শিকার করেছেন।
শনিবার (১৮ অক্টোবর) ব্যাট হাতে ছোট্ট কিন্তু কার্যকর ইনিংস খেলার পর বল হাতে পুরোপুরি বদলে দেন ম্যাচের চিত্র। রিশাদের ঘূর্ণিতে একের পর এক ব্যাটার ভুল শটে আউট হয়ে ফিরছেন সাজঘরে। এর আগে ওয়ানডে ক্রিকেটে রিশাদের সেরা বোলিং ছিল আফগানিস্তানের বিপক্ষে, যেখানে তিনি ৩৭ রানে ২ উইকেট নিয়েছিলেন। আজকের পারফরম্যান্স সেই রেকর্ড ভেঙে দিলো অনায়াসেই।
বাংলাদেশের প্রথম ডানহাতি স্পিনার হিসেবে ওয়ানডেতে ৫ উইকেট পেলেন রিশাদ। আগের সেরা ছিল রাজিন সালেহর। ২০০৬ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ৪/১৬।
অবশ্য, উদ্বোধনী জুটিতে ৫১ রান তুলে নেয় সফরকারীরা। সেই জুটি ভাঙেন রিশাদ।
নিজের প্রথম ওভারেই এলবিডব্লু করেন অ্যালিক অ্যাথানেজকে। রিভিউ নিয়েও বাঁচতে পারেননি ওয়েস্ট ইন্ডিজ ওপেনার। ৩৬ বলে ২৭ রান করে ফেরেন অ্যাথানেজ।
অ্যাথানেজের বিদায়ের পর এসে ব্রেন্ডন কিংকে দুর্দান্ত সঙ্গ দিছিলেন কেসি কার্টি। দ্বিতীয় উইকেটে ২৮ রান যোগ করেছিলেন এই জুটি। তবে বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি কার্টি—রিশাদের স্পিনে বিভ্রান্ত হয়ে ৩০ বলে ৯ রান করে স্লিপে ক্যাচ দেন তিনি।
ইনিংসের ২২তম জোড়া উইকেট নেন রিশাদ। একপ্রান্ত আগলে রাখা কিংয়ের পর রাডারফোর্টকেও ফেরান। এর মধ্যে ৬০ বলে ৪৪ রান করে ফেরেন কিং আর রানের খাতা খোলার আগেই ফেরেন রাডারফোর্ট।
রিশাদের ঘূর্ণিতে ১০০ রানে পৌঁছানোর আগেই পঞ্চম উইকেট হারায় ক্যারিবীয়রা, আর পাঁচটিই রিশাদের ঝুলিতে।
ইনিংসের ২৪তম ওভারের শেষ বলে অফ স্টাম্পের বাইরের বল ব্যাট ছুঁয়ে চুপচাপ উইকেটকিপার সোহানের গ্লাভসে যায়। আম্পায়ারের আউট সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে রিভিউ নেন চেজ, তবে লাভ হয়নি। ৯২ রানে পঞ্চম উইকেট হারায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
এর আগে, ২০৮ রানের লক্ষ্য ছুড়ে দিয়ে প্রথম ১০ ওভারে উইকেটশূন্য ছিল বাংলাদেশ। ওয়েস্ট ইন্ডিজের দুই ওপেনার তোলেন ৪৫ রান।
অবশ্য শুরুটা ছিল বেশ কৃপণ, প্রথম দুই ওভারই মেডেন। এরপরই ছন্দ হারায় স্বাগতিক বোলাররা। তাসকিনের তৃতীয় ওভারে চার–ছক্কায় ১০ রান নেন ব্র্যান্ডন। তানভীর ইসলামের পরের ওভারে অ্যাথানেজ ঝড় তুলে ৩ চার ও ১ ছক্কায় নেন ১৮ রান।
মোস্তাফিজের করা ষষ্ঠ ওভারে আসে ৫ রান। সপ্তম ওভারে বোলিংয়ে এসে চাপ ফেরান অধিনায়ক মিরাজ, করেন মেডেন ওভার।