বিশ্বকাপের হিসাব মেলাতে বাংলাদেশের সামনে যত সিরিজ
বাংলাদেশের সবচেয়ে পছন্দের ফরম্যাট এই ওয়ানডেই। তবে নিজেদের সবশেষ ১১ ম্যাচের মধ্যে ১০টিতেই পরাজয়ের তিক্ত স্বাদ নিয়েছে লাল-সবুজেরা। গত দুই বছর আগেও যে সংস্করণে অন্যতম সেরা দল ছিল বাংলাদেশ, এখন সেই ওয়ানডেতেই সবচেয়ে বাজে পরিস্থিতিতে টাইগাররা। লিটন-শান্তদের এমন বাজে পারফরম্যান্সের প্রভাব আইসিসি র্যাঙ্কিংয়েও পড়েছে।
গত ১৯ বছরের মধ্যে এখন সর্বনিম্ন ১০ নম্বরে বাংলাদেশ। এতে ২০২৭ ওয়ানডে বিশ্বকাপেও বাংলাদেশের জায়গা পাওয়া নিয়ে শঙ্কা জেগেছে। আইসিসির নিয়ম অনুযায়ী, র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষ ৮ দল ২০২৭ বিশ্বকাপে সরাসরি খেলবে। এক্ষেত্রে ২০২৭ সালের ৩১ মার্চ পর্যন্ত সময়সীমা নির্ধারণ করে দেওয়া আছে। এর ব্যতিক্রম হলেই বাছাইপর্ব খেলতে হবে বাংলাদেশকে।
সবমিলিয়ে কত ম্যাচ জিতলে বিশ্বমঞ্চের মূলপর্বে সরাসরি খেলা যাবে কিংবা কত ম্যাচে হারলে বাছাইপর্ব খেলতে হবে, সেই হিসেব-নিকাশ এখনই মেলানো কঠিন। তবে আগামী দেড় বছরে ব্যস্ত সময়ের মধ্য দিয়েই যেতে হবে টাইগারদের। এই সময়ে ৮ সিরিজে প্রায় ২৪টি ম্যাচ খেলা নিশ্চিত বাংলাদেশের।
আফগানিস্তানের বিপক্ষে মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) হোয়াইটওয়াশ এড়ানোর মিশনে নামবে বাংলাদেশ। তবে আফগান সিরিজ শেষ বিশ্রামের সময় পাচ্ছে না লাল-সবুজেরা। আগামী ১৮ অক্টোবর থেকে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে তিনটি ওয়ানডে ম্যাচ খেলবে মেহেদী হাসান মিরাজের দল। পরিসংখ্যান বলছে, আফগানদের বিপক্ষে হোয়াইটওয়াশ হলেও ক্যারিবিয়ানদের বিপক্ষে ৩-০ ব্যবধানে সিরিজ জিতলেই র্যাঙ্কিংয়ে নয়ে উঠবে বাংলাদেশ।
তবে এই সিরিজের প্রায় ৫ মাস পর ফের ওয়ানডে ফরম্যাটে খেলবে বাংলাদেশ। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর আগামী মার্চে পাকিস্তানের বিপক্ষে এই সংস্করণে মাঠে নামবে টাইগাররা। এরপর নিউজিল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, জিম্বাবুয়ে, আয়ারল্যান্ড, ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষেও সিরিজ খেলবে মেহেদী মিরাজের দল। প্রতিটি সিরিজই তিন ম্যাচের।
এর মধ্যে আগামী বছরের মার্চ-এপ্রিলে পাকিস্তান ও নিউজিল্যান্ড, জুনে অস্ট্রেলিয়া ও সেপ্টেম্বরে ভারতের বিপক্ষে হোম সিরিজ খেলবে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। এছাড়া জিম্বাবুয়ে, আয়ারল্যান্ড ও দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে অ্যাওয়ে সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ।
অবশ্য, ২০২৬ সালের নভেম্বরে দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজের পর ২০২৭ সালে মার্চ পর্যন্ত আর ওয়ানডে নেই বাংলাদেশের। তবে বিসিবি সূত্র বলছে, বিশ্বকাপকে সামনে রেখে ওই সময়ে নতুন কোনো সিরিজ আয়োজন করা হতে পারে।
সবমিলিয়ে পথটা বেশ দীর্ঘ, সমীকরণও নির্মমভাবে স্পষ্ট। তবে লিটন-শান্তরা কোনোভাবেই বাছাইপর্বের অনিশ্চিত, ঝুঁকিপূর্ণ ও সময়সাপেক্ষ পথে নামতে চাইবেন না।