০৮ অক্টোবর ২০২৫, ১৬:৩৭

‘আমি মনে করি না এটা কোনো নির্বাচন ছিল’

সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখছেন তামিম   © সংগৃহীত

বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) নির্বাচন শেষে আবারও সরব হলেন তামিম ইকবাল। বুধবার (৮ অক্টোবর) নির্বাচন বয়কট করা ক্লাবগুলোর হয়ে সংবাদ সম্মেলনে ছিলেন সাবেক এই অধিনায়ক। সেখানে তার দাবি, বিসিবিতে এবার নির্বাচন নয়, বরং আগেই সমঝোতা হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে তামিম বলেন, 'আমি মনে করি না এটা কোনো নির্বাচন ছিল। ছোট একটা পয়েন্ট ধরে দিতে চাই, যাচাই করে নিবেন। আমি যখন ই-ভোটিংয়ের জন্য এপ্লাই করি, বিভিন্ন মিডিয়ায় দেখলাম আমি ভোট দিয়েছি। এখানে ভুল বোঝাবুঝির কারণে হয়েছে। এটা দেখে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেই এবং ইসিকে ইমেইল দেই। ওদের রিপ্লাই এসেছে কাল, আমার কোনো ই-ভোট কাস্টিং হয়নি।'

এদিকে গুঞ্জন উঠেছিল, এবারের নির্বাচনে ই-ভোট দিয়েছেন তামিম। তবে নির্বাচনের পরপরই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক পোস্টে তিনি স্পষ্ট করেন, ভোট দেননি তিনি। এবার সংবাদ সম্মেলনে নির্বাচনী এলাকায় থাকা প্রার্থীদের আগেভাগে ই-ভোট দেওয়ার অভিযোগ তুলেও সমালোচনা করেন তিনি।

তামিমের ভাষ্যমতে, 'খুবই হাস্যকর জিনিস দেখলাম ইলেকশনে। ৪২টির মতো ভোট কাস্টিং হয়েছে, যার ৩৪টি ই-ভোটে। ই-ভোটিং কেন হয়? হয় আপনি এভেইলেবল না, সেন্টারে যেতে পারবেন না। ৩৪টি ই-ভোট, ৩৪ জনই অইদিন সেন্টারে ছিলেন। ১২ জন যারা নির্বাচিত হয়েছেন সবাই ই-ভোট দিয়েছেন। এটার মোটিভ কী? ই-ভোটিং করে সারাদিন সেন্টারেই আছেন। তাহলে ই-ভোটিংয়ের দরকার কী? ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ না ‘একসাথে মিলে বাংলাদেশ’ সেটা অন্য প্রশ্ন…'

তামিম আরও বলেন, 'যেটা বললাম, কিছু অলিখিত নিয়ম থাকে। আমি ওসব অলিখিত নিয়ম ভাঙতে চাই। সমঝোতায় একমত ছিলাম না বলেই তো বের হয়ে এসেছি। কিছু জিনিস আমাদের তরফ থেকে, অতটুকুই থাকুক। এগুলো নিয়ে পাবলিকলি ডিসকাস করা ঠিক না। প্রথম দিন থেকে আমরা চেয়েছি ফেয়ার ইলেকশন, দুর্ভাগ্যবশত যেটা হয়নি।'

এদিকে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেও জয়ের ব্যাপারে শতভাগ আত্মবিশ্বাসী ছিলেন তামিম। তার দাবি, একা নির্বাচন করলেও জয় পেতেন সাবেক এই অধিনায়ক। কিন্তু অনিয়মের মধ্যে থাকার কোনো ইচ্ছে ছিল না তার।

তামিমের মতে, 'আমার বিষয়ে কমবেশি আপনাদের ধারণা আছে। এখানে অনেকেই কাউন্সিলর আছেন। আপনাদের কি মনে হয়, ১৫ ক্লাব না থাকলে আমার জন্য কেউ ভোট করত না? আমি দাঁড়ালে খুবই আত্মবিশ্বাসী ছিলাম যে আমি জিতব।'