বাংলাদেশকে চ্যালেঞ্জিং লক্ষ্য দিল আফগানিস্তান
ব্যাটিংয়ে নেমে দুর্দান্ত শুরু পেয়েছিল আফগানিস্তান। তবে বোলারদের আগুনঝড়া পারফরম্যান্সে দ্রুতই ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নেয় বাংলাদেশ। এতে লড়াইয়ের আভাস দিলেও শেষমেশ বড় পুঁজি পায়নি স্বাগতিকরা।
বৃহস্পতিবার (২ অক্টোবর) শারজাহতে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৫১ রানের সংগ্রহ পায় আফগানিস্তান। দলটির হয়ে ৩ ছক্কা ও ২ চারে ৩১ বলে সর্বোচ্চ ৪০ রানের ইনিংস খেলেন গুরবাজ।
ব্যাটিংয়ে নেমে আগ্রাসী শুরু করেছিলেন দুই আফগান ওপেনার ইব্রাহিম জাদরান ও সেদিকুল্লাহ আতাল। তবে ইনিংসের চতুর্থ ওভারে সেই জুটি ভাঙেন নাসুম আহমেদ। এই স্পিনারের ঘূর্ণিতে ১০ বলে ৩ বাউন্ডারিতে ১৫ রানে বোল্ড হয়ে ফেরেন ইব্রাহিম।
পরের ওভারে আরেক ওপেনার সেদিকুল্লাহও ফেরেন। তানজিম সাকিবের বলে পারভেজ ইমনের হাতে ক্যাচ দিয়ে ১২ বলে এক চারে ১০ রানে ফেরেন এই ওপেনার।
পাওয়ার প্লে’তে আরও একবার উইকেট হারায় আফগানরা। ষষ্ঠ ওভারে রাসুলিকেও হারায় স্বাগতিকরা। রানের খাতা খোলার আগেই রানআউট হয়ে ফেরেন টপ-অর্ডার এই ব্যাটার।
আফগানদের শুরুর দিকে চেপে ধরা টাইগারদের চতুর্থ উইকেট পেতেও বেশিক্ষণ সময় লাগেনি। পাওয়ার প্লের পর আক্রমণে এসে উইকেট মিছিলে যোগ দেন রিশাদ। তার ঘূর্ণিতে মাত্র ১ রানে ফেরেন মোহাম্মদ ইশাক।
দলীয় ৪০ রানে ৪ উইকেট হারানোর পর ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা চালিয়েছিলেন রহমানউল্লাহ গুরবাজ ও আজমতউল্লাহ ওমরজাই। পঞ্চম উইকেট জুটিতে ৩৩ রান যোগ করেন তারা। তবে এই জুটিও ভেঙে দেন রিশাদ। ১৮ বলে ১৮ রান ওমরজাইকে ফেরান রহস্যময় এই স্পিনার।
সতীর্থদের আসা-যাওয়ার মিছিলে একপ্রান্ত আগলে রেখেছিলেন গুরবাজ। ষষ্ঠ উইকেটে নবির সঙ্গে আরও ২২ রান যোগ করেন। তবে ইনিংসের ১৫তম ওভারে তাকে সাজঘরে ফেরান সাকিব। ৩১ বলে ২ চার ও ৩ ছক্কায় ৪০ রানে ফেরেন তিনি।
ডেথ ওভারে এসে হাত খুলেছিলেন মোহাম্মদ নবি। তার ব্যাটে চড়েই বড় পুঁজির স্বপ্ন বুনছিল আফগানরা। তবে ২৫ বলে ৩৮ রান করা এই ব্যাটারকে রিশাদের ক্যাচ বানিয়ে ফেরান তাসকিন। অবশ্য, একই ওভারে ৪ বলে তিন ছক্কা হাঁকান নবি।
শেষদিকে আর কোনো ব্যাটারই বলার কিছু করতে না পারলেও ১ ছক্কা ও ১ চারে আশরাফের ১২ বলে ১৭ রানের ক্যামিওতে দেড়শ পেরোনো সংগ্রহ পায় স্বাগতিকরা।