৩৩ রানে শেষ ৯ উইকেট হারিয়ে দেড় শ’র আগেই অলআউট পাকিস্তান
দুই ওপেনারের ব্যাটে চড়ে উড়ন্ত সূচনা পেয়েছিল পাকিস্তান। ফারহানের ঝোড়ো ফিফটিতে বড় সংগ্রহের স্বপ্নও বুনছিল দ্য গ্রিন ম্যানরা। তবে, মিডল-অর্ডার ব্যাটারদের ব্যর্থতায় ইনিংসের ৫ বল বাকি থাকতেই গুটিয়ে যায় পাকিস্তান।
রবিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) দুবাইতে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে ১৯ দশমিক ১ ওভারে সবকটি উইকেট হারিয়ে ১৪৬ রানে থামে পাকিস্তানের ইনিংস। দলটির হয়ে ৩৮ বলে সর্বোচ্চ ৫৭ রানের ইনিংস খেলেন ওপেনার ফারহান।
ফাইনালের চাপ মোকাবিলায় দারুণ শুরু এনে দেন পাকিস্তানের দুই ওপেনার শাহিবজাদা ফারহান ও ফখর জামান। নতুন বলে জাসপ্রিত বুমরাহ কিংবা মাঝের ওভারে কুলদীপ যাদবের মতো চায়নাম্যান স্পিনার—সবাইকেই স্বাচ্ছন্দ্যে খেলেন ফারহান। বড় ম্যাচে মাত্র ৩৫ বলে ফিফটি পূরণ করেন তিনি। তবে হাফ-সেঞ্চুরির পর বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি এই ওপেনার। ৩৮ বলে ৫৭ রানে তার বিদায়ে ভাঙে ওপেনিং জুটি।
এরপর তিন নম্বরে নামা সাইম আইয়ুবের সঙ্গে জুটি গড়ার চেষ্টা চালান ফখর। তবে, তাকে বেশিক্ষণ সঙ্গ দিতে পারেননি সাইম। আগের ৬ ম্যাচে চারবার ডাক খাওয়া টপ-অর্ডার এই ব্যাটার শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে ১১ বলে ১৪ রানের বেশি করতে পারেননি। কুলদীপকে ব্যাকফুটে খেলতে গিয়ে ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে বুমরাহর হাতে ক্যাচ দেন।
এরপর রানের খাতা খোলার আগেই ফেরেন মোহাম্মদ হারিস (২ বলে ০)। অক্ষর প্যাটেলের বলে লং অফে রিংকু সিংয়ের হাতে ধরা পড়েন উইকেটকিপার এই ব্যাটার।
‘মোমেন্টাম’ হারানোর দিনে ফখরও বেশিক্ষণ আর টিকতে পারেননি। বরুণের বলে বাউন্ডারি হাঁকিয়ে ফিফটি পূরণ করতে গিয়ে ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে কুলদীপের হাতে ধরা পড়েন।
মুহূর্তেই ১১৩/১ থেকে ১৩৩/৬–এর দলে পরিণত হয় দ্য গ্রিন ম্যানরা। ফখরের পর হুসেইন তালাত ও অধিনায়ক আগা সালমানও বেশিক্ষণ টেকেননি। ২ বলে মাত্র ১ রান করে তালাত, আর ৭ বলে মাত্র ৮ রানে ফেরেন সালমান।
এরপর দলীয় ১৩৪ রানে ফেরেন শাহিন আফ্রিদি। কুলদীপের বলে এলবিডব্লুর ফাঁদে পড়ে ৩ বলে ০ রানে ফেরেন তিনি। নিজের শেষ বলেও উইকেট নেন কুলদীপ। আফ্রিদিকে ফেরানোর এক বল পর ফাহিম আশরাফকেও (২ বলে ০) ফেরান।
১৮তম ওভারের বুমরাহর পঞ্চম বলে ফেরেন হারিস রউফ (৪ বলে ৬)। আর ইনিংসের শেষ ওভারের প্রথমে বল মোহাম্মদ নওয়াজকে (৯ বলে ৬) ফেরান বুমরাহ। সবমিলিয়ে পাকিস্তানের প্রথম তিন ব্যাটার ছাড়া আর কেউই দুই অঙ্ক ছুঁতে পারেননি। এতে নবমবারের মতো এশিয়ার সেরা হতে ভারতের দরকার ১৪৭ রান।
ম্যান ইন ব্লুদের হয়ে ৪ উইকেট নেন কুলদীপ। এছাড়া দুটি করে উইকেট নেন বুমরাহ, অক্ষর প্যাটেল ও বরুণ চক্রবর্তী।