২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৯:৫২

নিরপেক্ষ বিসিবি নির্বাচন চেয়ে রুবেল-মিঠুন-তাইজুলদের বার্তা

বিসিবি লোগো   © সংগৃহীত

বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) আসন্ন পরিচালনা পরিষদের নির্বাচন ঘিরে শুরু হয়েছে তীব্র বিতর্ক। মিরপুরের গণ্ডি পেরিয়ে আদালত পর্যন্ত গড়িয়েছে বিষয়টি। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিসিবি সভাপতি আমিনুল ইসলামের পাঠানো একটি চিঠির বিরুদ্ধে হাইকোর্টে রিট আবেদন করেন জেলা ও বিভাগীয় পর্যায়ের কয়েকজন কাউন্সিলর। এরপর গত সোমবার ওই চিঠির কার্যকারিতা ১৫ দিনের জন্য স্থগিত করে হাইকোর্ট। যদিও একইদিন হাইকোর্টের এই আদেশ স্থগিত করে দেন আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত। ফলে, নির্বাচন কার্যক্রম আবারও চালিয়ে নেওয়ার পথ খোলে যায়।

এরপর গেল ২৩ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় ১৭৭ জন কাউন্সিলরের একটি তালিকা প্রকাশ করে বিসিবির নির্বাচন কমিশন। তবে, তালিকায় ৬টি জেলা ও ১৫টি ক্লাবের কোনো প্রতিনিধি নেই, যা নতুন করে বিতর্ক তৈরি করেছে। সব মিলিয়ে, বিসিবির এবারের নির্বাচনকে ঘিরে একের পর এক সিদ্ধান্ত ও পাল্টা-সিদ্ধান্ত নির্বাচনী পরিবেশকে দিন দিন আরও জটিল ও বিতর্কিত করে তুলছে।

এমন পরিস্থিতিতে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের দাবি জানিয়েছেন ক্রিকেটার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (কোয়াব) সভাপতি মোহাম্মদ মিঠুন। নিজের ফেসবুক পেজে তিনি লেখেন, ‘বিসিবি নির্বাচন ঘিরে যা যা হচ্ছে, এসব কখনোই কাম্য নয়। এটা বাংলাদেশ ক্রিকেট ও ক্রিকেটারদের ভবিষ্যতের ব্যাপার। আমরা চাই, বিসিবি নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হোক।’

এদিকে ‘বোর্ড সভাপতি’ বিষয়টিকে টস ভাগ্যের সঙ্গে তুলনা করেছেন জাতীয় দলের ক্রিকেটার রুবেল হোসেন। নির্বাচন নিয়ে তিনি লেখেন, ‘বোর্ড প্রেসিডেন্ট আসা-যাওয়া যেন ক্রিকেটের টসের মতো—কখন কার ভাগ্য জোটে বলা মুশকিল। সুন্দর পরিবেশে ক্রিকেট বোর্ড নির্বাচন হোক স্বচ্ছ কোনও প্রতিদ্বন্দ্বিতা, শত্রুতা নয়। যেখানে জয়ী হবে কেবল ক্রিকেট।’

অন্যদিকে মুমিনুল হক, তাইজুল ইসলাম, শামসুর রহমান শুভ, ইরফান শুকুররাও একই দাবি জানিয়েছেন। সাবেক টেস্ট অধিনায়ক মুমিনুল লেখেন, ‘বিসিবি নির্বাচন ঘিরে যা যা হচ্ছে, এসব কখনোই কাম্য নয়। এটা বাংলাদেশ ক্রিকেট ও ক্রিকেটারদের ভবিষ্যতের ব্যাপার। আমরা চাই, বিসিবি নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হোক।’