২০ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৯:৪৯

সাকিবকে জাদেজার চেয়ে এগিয়ে দেখছেন মঈন আলি

সাকিল আল হাসান ও রবীন্দ্র জাদেজা  © সংগৃহীত

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সাকিব আল হাসান তার দুর্দীপ্ত ক্যারিয়ারের অন্তিম প্রান্তে দাঁড়িয়ে। জাতীয় দলে তার প্রত্যাবর্তনের সম্ভাবনাও যেন কুয়াশাচ্ছন্ন সকালের মতোই অনিশ্চিত। অন্যদিকে, রবীন্দ্র জাদেজার ক্ষেত্রেও ফুরিয়ে আসছে তিন ফরম্যাটের আলো, বর্তমানে কেবল ওয়ানডে ফরম্যাটই তার সম্ভাবনার দ্বার।

দুজনই যুগের পর যুগ ধরে নিজেদের জাত চিনিয়েছেন অলরাউন্ডার হিসেবে, একদিকে ব্যাট হাতে জাদুকরী সব ইনিংস, অন্যদিকে বল হাতে প্রতিপক্ষকে শিকল পরানোর ক্ষমতা। তবে সাম্প্রতিক এক আলোচনায় সাকিবকেই এগিয়ে রাখলেন ইংল্যান্ডের অভিজ্ঞ অলরাউন্ডার মঈন আলি।

'বেয়ার্ড বিফোর উইকেট' নামক এক পডকাস্টে প্রশ্ন উঠল—সাকিব না জাদেজা, কে এগিয়ে? শুরুতে মঈনের উত্তর ছিল একেবারেই আন্তরিক ও প্রশংসাসূচক।

তার ভাষ্যমতে, “প্রশ্নটি নিঃসন্দেহে কঠিন। তবে আমার দৃষ্টিতে সাকিব অত্যন্ত আন্ডাররেটেড একজন খেলোয়াড়। ব্যাটিং ও বোলিং—উভয় ক্ষেত্রেই তিনি জাদেজার তুলনায় অগ্রগণ্য। আমি নিঃসন্দেহে সাকিবকেই বেছে নেব।”

পডকাস্টে ইংলিশ লেগ-স্পিনার আদিল রশিদও উপস্থিত ছিলেন। তবে তিনি কোনো একক সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে নারাজ। বরং বিচক্ষণভাবে বললেন, “বোলিংয়ে সাকিবের স্থান ঊর্ধ্বে, কিন্তু ব্যাটিংয়ে জাদেজাই এগিয়ে।”

আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে সাকিব ৭১ টেস্টে ৪ হাজার ৬০৯ রান ও ২৪৬ উইকেট, ২৪৭ ওয়ানডেতে ৭ হাজার ৫৭০ রান ও ৩১৭ উইকেট এবং ১২৯ টি-টোয়েন্টিতে ২ হাজার ৫৫১ রান এবং ১৪৯ উইকেট পেয়েছেন।

অন্যদিকে, ২০০৯ সালে অভিষেক হওয়ার পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে জাদেজা ৮৫ টেস্টে ৩ হাজার ৮৮৬ রান ও ৩৩০ উইকেট, ২০৪ ওয়ানডেতে ২ হাজার ৮০৬ রান ও ২৩১ উইকেট এবং ৭৪ টি-টোয়েন্টিতে ৫১৫ রান ও ৫৪ উইকেট শিকার করেন।

সংখ্যা, পরিসংখ্যান ও প্রভাবের দৃষ্টিকোণ থেকে বিচার করলে দেখা যায়—সাকিব আল হাসান কেবল একজন ক্রিকেটার নন, তিনি এক পর্বতসদৃশ উপস্থিতি। বিশেষ করে সাদা বলের খেলায় তার অলরাউন্ড সামর্থ্য তাকে বিশ্বের সেরাদের কাতারে স্থান দিয়েছে বহু আগেই। অপরদিকে, রবীন্দ্র জাদেজা টেস্টে তার অসাধারণ পারফরম্যান্স ও ফিনিশারের ভূমিকায় নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন।

তবু, এক অলরাউন্ডার যখন অন্য অলরাউন্ডারকে শ্রেষ্ঠত্বের আসনে বসান—তা নিছক সংখ্যার খেলা নয়, বরং এক প্রজন্মের প্রতি আরেক প্রজন্মের সম্মানজ্ঞাপন। মঈন আলির কণ্ঠে তাই কেবল প্রশংসা নয়, রয়েছে স্বীকৃতি ও কৃতজ্ঞতার সুরও।