০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৭:২১

পাকিস্তান ম্যাচ বর্জন না করার কারণ জানাল ভারত

ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ   © সংগৃহীত

আর মাত্র কয়েক ঘণ্টার অপেক্ষা! এরপরই পর্দা উঠতে যাচ্ছে মহাদেশীয় শ্রেষ্ঠত্বের আসর এশিয়া কাপের। অবশ্য, টুর্নামেন্টের অন্যতম আলোচিত ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ আগামী ১৪ সেপ্টেম্বর আয়োজিত হবে। এ ম্যাচ নিয়ে নানা দ্বিধাদ্বন্দ্ব কিংবা শঙ্কা থাকলেও শেষমেশ ঠিকই মাঠে গড়াচ্ছে ম্যাচটি।

মূলত ভারত-পাকিস্তানের মধ্যকার রাজনৈতিক বৈরী সম্পর্কে নতুন করে উত্তাপ ছড়িয়েছিল পেহেলগাম কাণ্ড। এর জেরে ভারত ও পাকিস্তানে চলমান আইপিএল ও পিএসএল স্থগিত হয়ে গিয়েছিল। এ নিয়ে ভারতের বেশকিছু সাবেক ক্রিকেটারও পাকিস্তানের বিপক্ষে সব ম্যাচ বর্জনের দাবি তুলেন। 

এশিয়া কাপে এবারও একই গ্রুপে ভারত-পাকিস্তান। সুপার ফোরেও দল দুটির মুখোমুখি হওয়ার সম্ভাবনা আছে। এরপর ফাইনালে উঠলে এশিয়া কাপেই তিনবার একে অপরের প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারে তারা। এশিয়া কাপে পাকিস্তানের বিপক্ষে খেলা নিয়ে গণমাধ্যমে ব্যাখ্যা দিয়েছেন বিসিসিআইয়ের সচিব দেবজিৎ সাইকিয়া। 

তার ভাষ্যমতে, 'ক্রিকেট কিংবা অন্য যেকোনো খেলায় ভারতীয় দলের অংশগ্রহণের ক্ষেত্রে, কেন্দ্রীয় সরকারের ক্রীড়া বিভাগ সুনির্দিষ্ট কিছু নিয়মকানুন ও নীতিমালা তৈরি করেছে। আমি নিশ্চিত, এই নীতিমালা প্রণয়নের সময় কেন্দ্রীয় সরকার অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যাতে জাতীয় স্তরের ক্রীড়া ফেডারেশনগুলো উপকৃত হয়। এই নীতিমালার ওপর ভিত্তি করে আমরা যেকোনো বহুজাতিক টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারি।'

সব ধরনের খেলা থেকে পাকিস্তানকে বর্জন না করার বিষয়েও কথা বলেন, বিসিসিআইয়ের সচিব।

সাইকিয়ার মন্তব্য, 'কেন্দ্রীয় সরকার সব দিক বিবেচনা করেছে, ফেডারেশনগুলোর স্বার্থ থেকে শুরু করে খেলোয়াড়দের উদ্বেগ পর্যন্ত। একটি টুর্নামেন্ট যদি বহুজাতিক হয়, আর সেখানে কোনো দল অংশ না নেয়, তাহলে সংশ্লিষ্ট সেই ফেডারেশনের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে। এমন পরিস্থিতি নতুন প্রজন্মের খেলোয়াড়দের ও তাদের ক্যারিয়ারকে বঞ্চিত করবে।' 

উল্লেখ্য, এবারের আসরে দুটি গ্রুপে ভাগ হয়ে ৮টি দল অংশ নিচ্ছে, গেলবারের তুলনায় দুটি দল বেড়েছে। গ্রুপ ‘এ’তে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ভারতের সঙ্গে স্বাগতিক সংযুক্ত আরব আমিরাত, পাকিস্তান ও ওমান রয়েছে। এছাড়া ‘বি’ গ্রুপে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ শ্রীলঙ্কা, আফগানিস্তান ও হংকং।

এবারের টুর্নামেন্টে প্রতিটি দল গ্রুপ পর্বে একবার করে একে অপরের সঙ্গে খেলবে। সেখান থেকে প্রতিটি গ্রুপের শীর্ষ দুটি দল সুপার ফোরে জায়গা করে নেবে। সেখান থেকে সেরা দুই দল আগামী ২৮ সেপ্টেম্বর দুবাইতে শিরোপা নির্ধারণী ফাইনালে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে।

গ্রুপ পর্বে সব ম্যাচ আবুধাবিতে খেলবে বাংলাদেশ। আগামী ১১ সেপ্টেম্বর হংকংয়ের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে আসর শুরু করবে টাইগাররা। এছাড়া ১৩ সেপ্টেম্বর শ্রীলঙ্কা ও ১৬ সেপ্টেম্বর আফগানিস্তানের মুখোমুখি হবে লিটন দাসের দল।