১০ জুলাই ২০২৫, ২২:৪২

পরাজয় দিয়ে টি-টোয়েন্টি সিরিজও শুরু বাংলাদেশের

বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা ম্যাচ   © সংগৃহীত

টেস্ট ও ওয়ানডে সিরিজের পর পরাজয় দিয়েই টি-টোয়েন্টি সিরিজ শুরু করল বাংলাদেশ। কুশল মেন্ডিস ও পাথুম নিসাঙ্কার তাণ্ডবে বল হাতে লড়াই করার সুযোগও পেল না টাইগাররা। এই জয়ে তিন ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজে ১-০’তে এগিয়ে গেল শ্রীলঙ্কা।

বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) পাল্লেকেলেতে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৫৪ রানের সংগ্রহ পায় বাংলাদেশ। জবাবে ৭ উইকেট ও ৬ বল হাতে রেখেই জয়ের বন্দরে নোঙ্গর করে স্বাগতিক দল। 

জবাবে টাইগার বোলারদের নিয়ে রীতিমত ছেলেখেলা করেন স্বাগতিক দুই ওপেনার নিশাঙ্কা আর মেন্ডিস। সাইফউদ্দিন, তাসকিন, তানজিম কিংবা মিরাজদের নাকানি-চুবানি খাইয়ে ২৮ বলেই ৭৮ রানের উদ্বোধনী জুটি গড়েন তারা। অবশ্য ইনিংসের পঞ্চম ওভারের চতুর্থ বলে এই জুটি ভাঙেন মিরাজ। ১৬ বলে ৫ চার আর ৩ ছক্কায় ৪২ রানের ইনিংস খেলে রিশাদের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন নিশাঙ্কা।

ততক্ষণ ম্যাচ নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে নেয় স্বাগতিকরা। আর নবম ওভারেই দলীয় শতক ছুঁয়ে ফেলে শ্রীলঙ্কা। তবে এমন নিস্তরঙ্গ সময়ে টাইগার শিবিরে স্বস্তি ফেরান রিশাদ। ১৩তম ওভারের পঞ্চম বলে তার গুগলিতে সুইপ করতে গিয়ে ক্যাচ তুলেন কুশল পেরেরা। কিছুটা দৌড়ে সহজ ক্যাচ নেন লিটন। ফেরার আগে ৩ ছক্কা আর ৫ চারে ৫১ বলে ৭৩ রানে কারিশমাটিক এক ইনিংস সাজান এই ওপেনার।

শেষদিকে পেরেরার ২৪ আর ফার্নান্দোর ১১ রানের সুবাদে ৬ বল বাকি থাকতেই লক্ষ্যে পৌঁছে যায় স্বাগতিক দল।

এর আগে, ব্যাটিংয়ে নেমে পারভেজ হোসেন ইমনের ব্যাটে উড়ন্ত সূচনা পায় বাংলাদেশ। যদিও পঞ্চম ওভারে প্যাভিলিয়নে ফেরেন আরেক ওপেনার তানজিদ তামিম। নুয়ান তুষারার লো ফুলটসে মিডউইকেটে ক্যাচ তুলে ১৭ বলে ১৬ রান করে ফেরেন এই ওপেনার। উইকেট হারালেও ৫ দশমিক ১ ওভারেই ৫০ ছুঁয়ে ফেলে টাইগাররা।

তবে অফফর্ম থেকে বের হতে পারেনি লিটন দাস। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে সুযোগ পেয়ে রানের খাতা খোলার আগেই প্যাভিলিয়নে ফিরেছিলেন। এবার টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথমটিতে ১১ বলে ৬ করে ফেরেন। লঙ্কান স্পিনার জেফ্রে ভেন্ডারসের বলে এলবিডব্লিউ হন টাইগার দলপতি। রিভিউ নিয়েও শেষ রক্ষা হয়নি।

লিটন ফেরার পরের ওভারেই ইমনের উইকেট হারায় বাংলাদেশ। তিকশানার বলে লং অফে শানাকার দারুণ ক্যাচে ফেরেন এই ওপেনার। ফেরার আগে ৫ চার আর এক ছক্কায় ২২ বলে ৩৮ রানের মারকাটারি এক ইনিংস সাজান তিনি।

ইমন ফেরার পর ক্রমেই চাপ বাড়াচ্ছিলেন হৃদয় ও নাঈম। আগ্রাসী হতে গিয়ে সেই চাপ আরও বাড়ান হৃদয়। শানাকার অফ স্ট্যাম্পের বাইরের বলে কাট করতে গিয়েছিলেন। তবে ঠিকমত টাইমিং হয়নি। স্ট্যাম্পের পেছনে দাঁড়ানো মেন্ডিসের হাতে ক্যাচ দিয়ে ১৩ বলে ১০ রান করে আউট হন হৃদয়।

ইনিংসের ৯ বল বাকি থাকতে আউট হন মেহেদী মিরাজ। তিকশানার শিকার বনে কাভারে আসালঙ্কার হাতে ক্যাচ দিয়ে ২৩ বলে ৪ বাউন্ডারিতে ২৯ রান করেন তিনি।

শেষদিকে ঝড় তোলেন শামীম পাটোয়ারী। তার ৫ বলে ২ ছক্কায় অপরাজিত ১৪ রানের ইনিংসে দেড়শ পেরোয় বাংলাদেশের পুঁজি। অন্যপ্রান্তে সমান এক চার-ছক্কায় ৩২ রানে অপরাজিত থাকেন নাঈম।