প্রথম দিনে দিশেহারা বাংলাদেশ!
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে গল টেস্টে দুই ইনিংসেই দুর্দান্ত ছিলেন বাংলাদেশের ব্যাটাররা। তবে প্রথম টেস্টের সেই ফর্ম কলম্বোতে টেনে আনতে পারলেন না নাজমুল হোসেন শান্তর দল। প্রথম সেশনে ২ উইকেট হারানোর পর পরের দুই সেশনে ৬ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। সবমিলিয়ে বাজে একটি দিন কাটিয়েছে সফরকারীরা। দিনশেষে কিছুটা হলেও এগিয়ে লঙ্কানরা।
কলম্বোতে প্রথম দিন শেষে ৮ উইকেটে ২২০ রান করেছে সফরকারীরা। ওপেনার সাদমান ইসলাম সর্বোচ্চ ৪৬, মুশফিকুর রহিম ৩৫ ও লিটন দাস ৩৪ রান করেন। বৃষ্টির কারণে প্রথম দিন ৭১ ওভার খেলা হয়েছে।
কলম্বোর সিংহলিজ স্পোর্টস ক্লাবে (এসএসসি) টস জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে দলীয় ৫ রানে প্রথম উইকেট হারায় বাংলাদেশ। ১০ বল খেলে খালি হাতে সাজঘরে ফেরেন ওপেনার বিজয়। দিনের শুরুতে জীবন পেয়েও কাজে লাগাতে পারেননি এই ওপেনার। প্রথম টেস্টের প্রথম ইনিংসেও ১০ বল খেলে খালি হাতে ফিরেছিলেন তিনি।
দ্বিতীয় উইকেটে ৩৮ রানের জুটি গড়ে শুরুর ধাক্কা সামাল দেন আরেক ওপেনার সাদমান ইসলাম ও মুমিনুল হক। তবে লঙ্কান অধিনায়ক ধনাঞ্জয়া ডি সিলভার বলে কভারে ক্যাচ দেন ৩৯ বলে তিন চারে ২১ রান করা মুমিনুল।
এরপর হাল ধরেন সাদমান ও অধিনায়ক শান্ত। জুটি গড়ার চেষ্টায় সাবধানে খেলতে থাকেন তারা। কিন্তু বড় জুটির ইঙ্গিত দিয়ে ৩১ রানে বিচ্ছিন্ন হন। বিশ্ব ফার্নান্দোর বলে খোঁচা মেরে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন গল টেস্টে জোড়া সেঞ্চুরি করা শান্ত (৩১ বলে ৮)। ৬ বল পর সাজঘরে ফেরেন সাদমানও। ৭ চারে ৪৬ রান করে থারিন্দু রত্নায়েকের শিকার হন এই ওপেনার।
চা-বিরতির ৭ বল আগে মুশফিক-লিটনের জুটি ভাঙেন অভিষিক্ত স্পিনার সোনাল দিনুশা। উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেওয়ার আগে ২ চার ও ১ ছক্কায় ৩৪ রান করেন লিটন। মুশফিকের সঙ্গে ১১৩ বলে ৬৭ রানের জুটি গড়েন ৫০তম ম্যাচ খেলতে নামা লিটন।
এরপর বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি মুশফিক। দিনুশার বলে বিশ্বর ক্যাচে পরিণত হন তিনি। ৫ চারে ৩৫ রান করেন মুশি।
দলীয় ১৬০ রানে মুশফিক বিদায়ের পর বাংলাদেশের রানের চাকা ঘুরিয়েছেন মিরাজ ও নাইম। দু’জনের ৩৭ রানের জুটিতে ২'শর কাছে পৌঁছে যায় টাইগারদের রান। তবে ২'শ থেকে ৩ রান দূরে থাকতে সাজঘরের পথ ধরেন মিরাজ। বিশ্বর বলে স্লিপে কামিন্দু মেন্ডিসকে ক্যাচ দেন ৩ চারে ৩১ রান করা মিরাজ।
মিরাজের মত উইকেটে সেট হয়ে আউট হন নাইমও। দিনের খেলা শেষ হবার ৭ বল আগে আসিথা ফার্নান্দোর শিকার হন নাইম। ২ চারে ২৫ রান করেন নাইম।
এরপর দিনের শেষ ৭ বল পার করেন তাইজুল ইসলাম ও এবাদত হোসেন। তাইজুল ৯ ও এবাদত ৫ রানে অপরাজিত আছেন। আসিথা-বিশ্ব ও দিনুশা দুটি করে উইকেট নেন।