অবশেষে বিসিবির শনিবারের বোর্ড মিটিং বাতিল
আগামী শনিবার (৩১ মে) বোর্ড মিটিংয়ে বসার কথা ছিল বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) পরিচালকদের। তবে হঠাৎ করেই আজ (২৯ মে) সেই সভা স্থগিত করেছেন সভাপতি ফারুক আহমেদ। বিসিবির এক পরিচালক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এদিকে বোর্ড মিটিং বাতিল করা হলেও শনিবারই গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলতে পারেন ফারুক। মূলত বিসিবিতে তার থাকা-না থাকা নিয়ে শঙ্কা জেগেছে। এ নিয়ে গণমাধ্যমে বিস্তারিত কথা বলতে পারেন বিসিবি বস।
গেল কয়েকদিন ধরেই বিসিবি সভাপতির পদ নিয়ে নানান জল্পনা-কল্পনা চলছে। গুঞ্জন ওঠেছিল, পদত্যাগ করতে পারেন ফারুক আহমেদ। মূলত বুধবার (২৮ মে) রাতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার সঙ্গে বিসিবি সভাপতির এক বৈঠক থেকেই এই গুঞ্জনের সূত্রপাত। যেখান দেশের ক্রিকেটের সর্বোচ্চ পদে তাকে না রাখার বার্তা দেওয়া হয়।
এরই মধ্যে বাংলাদেশের প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরিয়ান আমিনুল ইসলাম বুলবুলের বিসিবির দায়িত্ব নেওয়ার বিষয়টি চাউর হয়। ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবে ইতোমধ্যে ‘হ্যাঁ’ বলেছেন তিনি। তবে এর আগে অবশ্য ফারুককে পদত্যাগ করতে হবে। অন্যথায় তাকে সরিয়ে দেওয়ার সুযোগ নেই। কোনো কারণে ফারুককে সরিয়ে দেওয়া হলে আইসিসির নিষেধাজ্ঞার খড়গ রয়েছে। যদিও এরই মধ্যে বিসিবি সভাপতির পদ থেকে পদত্যাগ না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ফারুক।
এ ব্যাপারে দেশের শীর্ষস্থানীয় একটি জাতীয় দৈনিকে ফারুক বলেন, ‘আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি পদত্যাগ করব না। আমাকে বলা হয়েছে, সরকার নাকি আমাকে আর বিসিবি সভাপতি হিসেবে রাখতে চাইছে না। কিন্তু কেন রাখতে চাইছে না, সেটার কোনো কারণ তারা আমাকে বলেনি। বিনা কারণে তো আমি পদত্যাগ করতে পারি না।’
এর আগে, রাজনৈতিক পটপরিবর্তনে গত বছরের ৫ আগস্ট নাজমুল হাসানের বোর্ডে থাকা জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ (এনএসসি) মনোনীত দুই পরিচালক জালাল ইউনুস ও আহমেদ সাজ্জাদুল আলমকে সরিয়ে দেওয়া হয়। তাদের পরিবর্তে সাবেক অধিনায়ক ও প্রধান নির্বাচক ফারুক আহমেদ এবং ক্রিকেট কোচ ও বিশ্লেষক নাজমূল আবেদীন ফাহিমকে এনএসসি নতুন পরিচালক হিসেবে মনোনয়ন দেয়। পরে বিসিবি সভাপতি নির্বাচিত হন ফারুক। এর আগে, নাজমুল হাসান বোর্ড সভাপতির পদ থেকে পদত্যাগ করেন।
কিন্তু মাত্র ৯ মাস পর হঠাৎ করে সরকারই কেন ফারুককে সভাপতির পদ থেকে সরাতে চাইছে, তা নিয়েও নানা প্রশ্ন জেগেছে। যদিও গুঞ্জন, নতুন সভাপতি হিসেবে এরই মধ্যে জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক আমিনুল ইসলামের কথা ভেবে রাখা হয়েছে। কিন্তু ফারুক শীর্ষ পদে আদিষ্ট হওয়ায়, স্বেচ্ছায় পদত্যাগ না করলে বিষয়টি কীভাবে সুরাহা করা হবে, তা নিয়ে নানা প্রশ্ন আছে। এমন উদ্ভূত পরিস্থিতিতে ৩১ মে বিসিবির পরিচালনা পর্ষদের যে সভা হওয়ার কথা, সেটি স্থগিত হলো।