১১ মে ২০২৫, ১৫:০৪

বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের সমস্যা কোথায়, জানালেন সালাউদ্দিন

মোহাম্মদ সালাউদ্দিন   © সংগৃহীত

প্রায় ২৫ বছর ধরে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পদচারণা বাংলাদেশের। বিশ্বের অন্য দলগুলো যখন প্রতিনিয়ত নিজেদের খেলার মানে উন্নতি করছে, সেখানে বাংলাদেশের চিত্র রীতিমতো উল্টো। গেল প্রায় দুই যুগেরও বেশি সময়ে খেলার ধরণে পরিবর্তন আসেনি টাইগারদের।

বেতন-ম্যাচ ফিসহ নানান সুবিধা প্রতিনিয়ত বাড়লেও নিজেদের সমস্যা থেকে কোনোভাবেই উতরে যেতে পারছেন না লিটন দাস-নাজমুল হোসেন শান্তরা। ক্রিকেটাররা বারবার কেন সেই পুরোনো কাসুন্দিতেই জড়িয়ে যাচ্ছেন, দিন দিন সেই প্রশ্নও উদ্বেগ বাড়াচ্ছে। তবে টাইগারদের সিনিয়র সহকারী কোচ মোহাম্মদ সালাউদ্দিন মনে করছেন, ক্রিকেটারদের অনুশীলনে কোনো ঘাটতি নেই, সমস্যাটা মানসিক।

চলতি মাসেই দুটি টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলার কথা শান্ত বাহিনীর। আসন্ন সংযুক্ত আরব আমিরাত ও পাকিস্তান সিরিজ সামনে রেখে মিরপুরে বেশ কয়েকদিন ধরেই চলছে জাতীয় দলের অনুশীলন।

রোববার (১১ মে) অনুশীলনের আগে সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের সামনে খোলাখুলি কথা বলেন মোহাম্মদ সালাউদ্দিন।

দেশসেরা এই কোচ বলেন, ‘দেখুন ড্রিলের কথা যদি বলেন, তাহলে আমি ১০০টা ড্রিল এখানে বানিয়ে বানিয়ে করতে পারব। ড্রিল বানানো নতুন কিছু না। আসলে খেলাটা তো মাথায়।' 

তিনি আরও বলেন, 'আমরা কীভাবে আসলে হিসাব-নিকাশ করতেছি, আমরা যুক্তিসঙ্গত উপায়ে ক্রিকেট খেলছি কি না। আমরা মনে হয় মাঝেমধ্যে লজিক ছাড়া ক্রিকেট খেলি। এই জায়গায় উন্নতি করা সহজ কাজ না। যদি স্কিল বলেন, টেকনিক বলেন, আপনি যেভাবে ড্রাইভ খেলেন, আমিও সেভাবে ড্রাইভ খেলি। নিশ্চয়ই তাহলে কোথাও না কোথাও সমস্যা আছে। সমস্যাটা আসলে মাথায়।’

টাইগার এই কোচ এ-ও বলেন, ‘সে জায়গায় কীভাবে উন্নতি করা যায়, এটা শুধু বললাম আর হয়ে গেল, তা কখনোই হবে না। এটার ঐতিহ্যগত ব্যাপার থাকে। যে ব্যাপারগুলো নিয়ে আমরা এরই মধ্যে কাজ শুরু করেছি। এই জায়গাটা তাড়াতাড়ি উন্নতি করতে হবে। বললেই হবে না যে করব করব করব। এটা খুব তাড়াতাড়ি করতে হবে।’

ক্রিকেটারদের দায়িত্ববান হিসেবে গড়ে তোলার চেষ্টা করছেন জানিয়ে সালাউদ্দিন বলেন, ‘দায়িত্ববোধের একটা ব্যাপার আছে। এটা চেষ্টা করতেছি ছেলেদের ওপর ছেড়ে দিতে। তাহলে তারা হয়তো তাড়াতাড়ি শিখবে। একজন আরেকজনকে কোচিং করানো। এমন একটা নতুন কৌশলও আমরা হয়তো নিয়েছি। যা থেকে তারা নিজেরা ক্রিকেট নিয়ে চিন্তাভাবনা করবে। চেষ্টা করতেছি আমাদের ঐতিহ্যগত ব্যাপারটা যেন পরিবর্তন হয়। যেখান থেকে ছেলেরা নিজেরাই শিখবে। নিজেরাই দায়িত্ববান হবে ও নিজেদের সমস্যার সমাধান করতে পারবে।’