১০ মে ২০২৫, ১১:৪১

নিউজিল্যান্ডকে হোয়াইটওয়াশ করতে পারেনি বাংলাদেশ

বাংলাদেশ-নিউজিল্যান্ড ম্যাচ  © বিসিবি

সিরিজের প্রথম দুটি ম্যাচ জিতে নিউজিল্যান্ডকে হোয়াইটওয়াশের সুযোগ পেয়েছিল বাংলাদেশ ‘এ’ দল। কিন্তু সেই সুযোগ হাতছাড়া করে তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডেতে কিউইদের কাছে ৪ উইকেটে হেরেছে স্বাগতিকরা। এতে ২-১ ব্যবধানে শেষ হয় সিরিজটি। 

শনিবার (১০ মে) সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে দলীয় ১৬ রানেই দুই ওপেনারকে হারায় বাংলাদেশ। ৪ রানে নাঈম ও ২ রানে প্যাভিলিয়নে ফেরেন বিজয়।

তৃতীয় উইকেটে ৩৭ রানের জুটিতে দলীয় বিপর্যয় কাটানোর চেষ্টা করেছিলেন সাইফ হাসান ও ইয়াসির আলি। তবে ১ রানের ব্যবধানে জোড়া উইকেট হারিয়ে ফের চাপে পড়ে লাল-সবুজেরা। ৬ চারে ২৫ বলে ৩১ রান করে সাইফ এবং রানের খাতা খোলার পরই সাজঘরে ফেরেন আফিফ হোসেন (১)।

৫৪ রানে ৪ উইকেট পতনের পর দলের হাল ধরার চেষ্টা করেন অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহান। কিন্তু স্কোরশিটে মাত্র ৩৬ রান যোগ হবার পর সাজঘরে ফেরেন সোহান। ১২ রান করেন আগের ম্যাচের এই সেঞ্চুরিয়ান। 

সাত নম্বরে নামা মোসাদ্দেক হোসেনও ৪ রানে সাজঘরে ফেরেন। আর হাফ-সেঞ্চুরি তুলে ইনিংস আর বড় করতে পারেননি ইয়াসির। ৭ চার ও ৩ ছক্কায় ৬৫ বলে ৬৩ রান করেন তিনি। 

দলীয় ১৪৬ রানে সপ্তম ব্যাটার হিসেবে ইয়াসির ফেরার পর গুটিয়ে যাবার শঙ্কায় পড়ে বাংলাদেশ। কিন্তু সেটি হতে দেননি নাসুম আহমেদ। টেল-এন্ডারদের নিয়ে লড়াই করেন তিনি। অষ্টম উইকেটে নাঈম হাসানের সঙ্গে ৩৪ রান যোগ করেন তিনি। 

১৮০ রানে নবম উইকেট পতনের পর শেষ ব্যাটার এবাদত হোসেনকে নিয়ে ৪৬ রান তুলেন নাসুম। একবার জীবন পেয়ে হাফ-সেঞ্চুরি তুলে শেষ ব্যাটার হিসেবে আউট হন নাসুম। ৪৭ দশমিক ৪ ওভারে ২২৬ রানে অলআউট হয় বাংলাদেশ। ৯ চার ও এক ছক্কায় ৯৭ বলে ৭ রান করেন নাসুম। নাঈম ১০ ও এবাদত অপরাজিত ১২ রান করেন। 

নিউজিল্যান্ডের আদিত্য আশোক ৪৪ রানে ৩ উইকেট নেন।

জবাবে ৭৭ রানের উড়ন্ত সূচনা করে নিউজিল্যান্ড। তবে ৯৪ রানের মধ্যে সফরকারী দলের দুই ওপেনারকে থামিয়ে লড়াইয়ে ফেরার পথ পায় বাংলাদেশ। 

এরপর নিয়মিত বিরতিতে নিউজিল্যান্ডের উইকেট তুলে নেন তিন স্পিনার নাসুম, নাঈম ও মোসাদ্দেক। ফলে ১৬৬ রানে ৬ উইকেট হারায় কিউইরা। 

কিন্তু সপ্তম উইকেটে ৬৫ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটিতে বাংলাদেশকে হতাশ করে নিউজিল্যান্ডের জয় নিশ্চিত করেন ডিন ফক্সক্রফট ও জ্যাক ফকস। ফক্সক্রফট ৩৬ ও ফকস ২৮ রানে অপরাজিত থাকেন। এছাড়া দুই ওপেনার রাইস মারিউ ৩৩, ডেল ফিলিপস ৩৪ ও জো কার্টার ৩৩ রান করেন। 

নাসুম, নাইম ও মোসাদ্দেক দুটি করে উইকেট নেন। 

আগামী ১৪ মে থেকে সিলেটে দুই ম্যাচ সিরিজের প্রথম চারদিনের ম্যাচ খেলতে নামবে বাংলাদেশ ও নিউজিল্যান্ড ‘এ’ দল। এরপর ২১ মে থেকে মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে দ্বিতীয় ও শেষ চারদিনের ম্যাচ খেলবে দল দুটি।