চট্টগ্রাম টেস্টে বাংলাদেশের অম্লমধুর দিন
ওপেনার সাদমান ইসলামের সেঞ্চুরিতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টের দ্বিতীয় দিন শেষে ৩ উইকেট হাতে নিয়ে ৬৪ রানে এগিয়ে বাংলাদেশ। প্রথম ইনিংসে সফরকারীদের ২২৭ রানে জবাবে ৭ উইকেটে ২৯১ রান নিয়ে দিন শেষ করেছে বাংলাদেশ।
এর আগে, চট্টগ্রামে বীরশ্রেষ্ঠ ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মতিউর রহমান ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে প্রথম দিন শেষে ৯০ ওভারে ৯ উইকেটে ২২৭ রান করেছিল জিম্বাবুয়ে।
দ্বিতীয় দিনের প্রথম বলেই শেষ ব্যাটার ব্লেসিং মুজারাবানিকে আউট করে জিম্বাবুয়ের ইনিংসের ইতি টানেন তাইজুল ইসলাম। মুজারাবানি ২ রান করেন। এ ছাড়া ১৮ রানে অপরাজিত থাকেন টাফাডজোয়া সিগা।
তাইজুল ২৭ দশমিক ১ ওভারে ৬০ রানে ৬ উইকেট নেন। এ ছাড়া নাইম হাসান দুটি ও তানজিম হাসান একটি উইকেট নেন।
জবাবে দুই ওপেনার সাদমান ও এনামুল হক বিজয়ের দৃঢ়তায় ১১৮ রানের সূচনা পায় বাংলাদেশ। ১৪তম ওভারে ৫০ ও ২৬তম ওভারে দলের রান ১শ পূর্ণ করেন তারা। এতে ৩২ ইনিংস ও ২৮ মাস পর টেস্টে উদ্বোধনী জুটিতে শতরান পেরোয় বাংলাদেশের। সর্বশেষ ২০২২ সালের ডিসেম্বরে চট্টগ্রামে ভারতের বিপক্ষে উদ্বোধনী জুটিতে ১২৪ রান তুলেছিলেন জাকির হাসান ও নাজমুল হোসেন শান্ত।
চা-বিরতির পর ভাঙে বাংলাদেশের উদ্বোধনী জুটি। জিম্বাবুয়ের পেসার ব্লেসিং মুজারাবানির বলে এলবিডব্লিউর ফাঁদে পড়েন বিজয়। তিন বছর পর টেস্ট দলে ফেরার ম্যাচে ৪ চারে ৮০ বলে ৩৯ রান করেন তিনি। ৬ ম্যাচের টেস্ট ক্যারিয়ারে এটি সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত রান এই ওপেনারের।
এরপর মুমিনুল হককে নিয়ে রানের চাকা সচল রেখে টেস্ট ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় সেঞ্চুরি তুলে নেন সাদমান। ২৬ ইনিংস পর টেস্টে শতক হাঁকান তিনি। সর্বশেষ ২০২১ সালের জুলাইয়ে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে হারারেতে ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি করেছিলেন এই ওপেনার।
সাদমান-মুমিনুলের হাফ-সেঞ্চুরির জুটিতে দ্বিতীয় সেশন ভালোভাবে শেষ করার পথেই ছিল বাংলাদেশ। কিন্তু চা-বিরতির আগে পরপর দুই ওভারে সাদমান ও মুমিনুলকে হারায় টাইগাররা। ১৬ চার ও ১ ছক্কায় ১৮১ বলে ১২০ রান করেন সাদমান। অন্যদিকে ২ চার ও ১ ছক্কায় ৩৩ রানে থামেন মুমিনুল।
১৯৪ রানে তৃতীয় উইকেট পতনের পর হাফ-সেঞ্চুরির জুটিতে দলের লিড নিশ্চিত করেন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত ও মুশফিকুর রহিম।
শেষ বিকেলে ৩ উইকেট নিয়ে জিম্বাবুয়েকে লড়াইয়ে ফেরান লেগ-স্পিনার ভিনসেন্ট মাসেকেসা। ৩ চার ও ১ ছক্কায় ২৩ রানে শান্তকে, জাকের আলিকে ৫ এবং টেল-এন্ডার নাঈম হাসানকে ৩ রানে শিকার করেন মাসেকেসা। এতে ২৭৯ রানে সপ্তম উইকেট হারায় বাংলাদেশ।
অষ্টম উইকেটে ১২ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটিতে দিনের খেলা শেষ করেন মেহেদী হাসান মিরাজ ও তাইজুল। মিরাজ ১৬ ও তাইজুল ৫ রানে অপরাজিত।